বাংলাদেশ ক্রিকেট

সোহানের লড়াইয়ে লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের

ত্রি-দেশীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই টস জিতে বোলিং বেছে নেয় কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবে ব্যাট করতে নামা টাইগারদের শুরুটা হয়নি ভালো।

দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ৫ রান করে আউট হোন মিরাজ। এরপর কিছুটা আশা দেখান একাদশে সুযোগ পাওয়া শান্ত। লিটনের সাথে স্বল্প রানের জুটি গড়লেও ১৫ রান করে মাঠ ছাড়েন লিটন। লিটন ফিরলে আফিফ থাকা অবস্থায় ৩৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হোন শান্ত।

শান্ত ফিরলে খানিক্ষনের মধ্যেই মাঠ ছাড়েন মোসাদ্দেক ও ইয়াসির রাব্বি। তবে তারপর ষষ্ঠ উইকেটে সাকিব নামলে ছোট জুটি গড়েন আফিফ-সাকিব। ২৪ রান করে আফিফ মাঠ ছাড়লে নামেন সোহান। এরপর ১৬ রানের মাথায় মাঠ ছাড়েন সাকিবও।

তবে শেষ উইকেট পর্যন্ত তাসকিন ও হাসান মাহমুদের সাথেই নিজে ক্রিজে থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন সোহান। ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে দুই ছক্কার পাশাপাশি শেষ ওভারেও একটি চার হাঁকান সোহান। শেষ পর্যন্ত ১২ বলে সোহানের ২৫ রানের ইনিংস দলকে এনে দেয় লড়াকু সংগ্রহ।

১৩৭ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ম্যাচ জিততে কিউইদের লক্ষ্য ১৩৮ রান।

টাইগারদের ইনিংসে টপ স্কোরার ছিলেন ৩৩ রান করা শান্ত। এরপর ২৫ রান করে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন সোহান। আফিফ ২৪ রান, সাকিবের ১৬ রান ও লিটনের ১৫ রান ছাড়া আর কেউ পৌঁছাতে পারেনি দ্বিতীয় অঙ্কের ঘরে। তাই বোলারদের দায়িত্ব নিতে হবে এই ম্যাচ জিততে।

এই ম্যাচে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁন ২ উইকেট নেওয়া ইশ সোধি। এছাড়াও বোল্ট, সৌদি ও ব্রেসওয়েলও পান দুটি করে উইকেট।

১০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া ইশ সোধি ম্যাচ শেষে বলেন, “মাইলফলক পৌঁছাতে পেরে ভালো লাগছে, আমরা বাইরে গিয়ে মাঝখানে পারফর্ম করতে পেরে উত্তেজিত ছিলাম। আমি শীতে কঠোর পরিশ্রম করেছি, বিদেশে কিছুটা কাজ করেছি। ছেলেরা কঠোর প্রশিক্ষিত হয়েছে, তাই যখন আপনি কয়েকটি ড্রপ করেন, এটি প্রচেষ্টার অভাবের কারণে হতে পারে না, সেই জিনিসগুলি ঘটে। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button