সাকিবের অনুমতি ছাড়াই জু’য়ার বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হচ্ছে তার ছবি?

গেল এশিয়া কাপের ঠিক আগ মুহূর্তে, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে গল টাইটান্সের হয়ে মাঠ মাতিয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং সকল ফর্ম্যাটেই বাংলাদেশের কাপ্তান সাকিব আল হাসান। চলতি বছরে আয়োজিত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটিতে সাকিবের দলকে স্পন্সর করেছিলো ভারতভিত্তিক এক অনলাইন জুয়ার সাইট – ক্রিকএক্স। পরবর্তীতে সাকিব ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব বুঝে নেওয়ার সময়েও প্রতিষ্ঠানটি তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একাউন্ট থেকেও সাকিবকে শুভেচ্ছাবার্তা জানায়।
ততক্ষণ পর্যন্ত তেমন চিন্তিত হওয়ার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেনি, কারণ যদিও অনেক মুসলমান ক্রিকেটার তাদের ক্রিকেটীয় সরঞ্জামে জুয়া, মদের মতো জিনিসের বিজ্ঞাপন ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করেন, এটি আসলে একজনের ব্যক্তিগত মতের ওপর নির্ভর করে। তবে বিগত কয়েকদিন যাবত, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সেই জুয়ার প্রতিষ্ঠানের একটি ভিডিও বিজ্ঞাপন ঘুরে বেড়াচ্ছে যেখানে সাকিবকে দেখা গিয়েছে।
অবশ্য সাকিবের তরফ থেকে এখনো এব্যাপারে কোনো নিশ্চিত মন্তব্য বা ঘোষণা আসেনি। তবে গেল বছর আরেকটি জুয়ার প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন একটি ওয়েবসাইটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন এই অলরাউন্ডার। সেসময় বিসিবির পক্ষ থেকে তাকে ক্রিকেট এবং জুয়ার প্রতিষ্ঠানের যেকোনো একটিকে বেছে নিতে বলা হলে সাকিব সেই চুক্তি থেকে সরে আসেন। এসময় বিসিবি থেকে জানানো হয়, তাদের নিয়মে কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে ক্রিকেটাররা চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে বোর্ডকে জানানোর কথা থাকলেও সাকিব সেটি করেননি। এছাড়া বাংলাদেশের আইনেও জুয়ার আয়োজন এবং খেলাকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা রয়েছে।
বিগত কয়েকবছর যাবত, বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক জুয়া খেলার ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে এবং সাকিবের ঘটনাটি যদিও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার কারসাজি হতে পারে, এটি দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ হতে চলেছে। কেননা, এসকল সাইট নির্দ্বিধায় তাদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে সক্রিয় থাকার বিষয়টি খোলাখুলিভাবে নিশ্চিত করেছে এবং সাকিব বা মইন আলীদের মতো চেনা মুখদের ছবি বারবার ব্যবহার করে চলেছে। তাই অন্যান্য অপ্রীতিকর সাইটের মতো এগুলোকে এদেশে বন্ধ করে দেওয়াটা এখন সময়ের দাবি।
(দ্রষ্টব্য: টাইগারক্রিক বা এই প্রতিবেদক কোনোভাবেই নিশ্চিত করছে না যে সাকিবই সেই বিজ্ঞাপনের ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। এই প্রতিবেদন দেশের ভেতরে বিদেশি জুয়ার সাইটের বেআইনি কার্যক্রমের বিরোধিতা করে। এছাড়া সেই ভিডিওটির কোনো লিঙ্কও আমরা সংগত কারণেই প্রকাশ করছি না।)