নতুন ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে জেমি সিডন্সের নাম ঘোষণা বিসিবির
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে এখন পর্যন্ত যে কয়েকজন সুনাম কুড়িয়েছেন বা টাইগারদের ক্রিকেটীয় উন্নতি হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন অস্ট্রেলিয়ার জেমি সিডন্স। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সময় টাইগারদের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডেভ হোয়েটমোর। তবে হোয়েটমোরের বিদায়ের পর টাইগারদের হেড কোচ হিসেবে তখন নিয়োগ দেয়া হয়েছিল জেমি সিডন্সকে।
বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব অবশ্য সিডন্স পালন করার সুযোগ পেয়েছিলেন চার বছর। টাইগারদের গুরু হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল বাজে পারফর্ম করার পর বিদায় করে দেয়া হয়েছিল সিডন্সকে। এরপর অবশ্য টাইগারদের হেড কোচ হয়ে আসার আর কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও দীর্ঘ ১০ বছর পর আবারও টাইগারদের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিডন্স।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক সভা শেষ বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করেছেন সিডন্সের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার খবরটি। বিসিবি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই দলের সাথে যুক্ত হচ্ছেন সিডন্স।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পাপন বলেন, ‘’জেমি সিডন্সকে ব্যাটিং কনসাল্টেন্ট হিসেবে বিসিবি নিয়োগ দিচ্ছে। কোথায় কাজ করবে তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা আশা করছি ফেব্রুয়ারিতেই হয়ত সে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করবে।‘’
টাইগারদের সিনিয়র ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে গত বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সিডন্সকে আবারও কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে আলোচনা চলছিল। টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সরাসরি জানিয়েছিলেন সিডন্সকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে যেন বিসিবি ভাবে। অবশেষে মাশরাফির সেই কথার যৌক্তকতাও মিলেছে সিডন্সকে নিয়োগ দেয়ার মধ্য দিয়ে।
বিসিবির সর্বশেষ ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিন্স অ্যাশওয়েল। এই প্রোটিয়ার অধীনে টাইগারদেরত ব্যাটিংয়ের খুব বেশি উন্নতি অবশ্য হয়নি। তাই তার সাথে চুক্তির মেয়াদ বাড়ায়নিও বিসিবি।