দুর্ভাগ্যের ইতিহাস পাল্টাতে পারবে প্রোটিয়ারা?
![](https://i0.wp.com/bn.tigercric.com/wp-content/uploads/2023/10/Untitled-design-3.png?resize=780%2C470&ssl=1)
নিউজিল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে মনে করা হয় দুর্ভাগা আরেকটি দল । সব ফরম্যাটে প্রোটিয়াদের আধিপত্য থাকলেও বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট গুলোতে বরাবরই হতাশ করেছে আফ্রিকার দেশটি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দারুন ফর্মে রয়েছে টেম্বা বাভূমার দল। এবারের বিশ্বকাপে তাই সেরা চারে থাকবে তা একপ্রকার অনুমেয়।
কখনও বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকা অবস্থান করছে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বর অবস্থানে । বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। এখন পর্যন্ত ৯টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে। তবে শিরোপার এত কাছে গিয়েও তা জিততে পারেনি দলটি।
তবে দুর্ভাগ্যের ইতিহাস বদলাতে চমকপ্রদ স্কোয়াড নিয়ে বিশ্বকাপ খেলছে প্রোটিয়ারা। মার্কো ইয়ানসেন, লিজাড উইলিয়ামস এর মতো তরুণদের দলে নিয়েছে প্রোটিয়ারা। এছাড়াও মার্করাম, মিলারদের মতো অভিজ্ঞরা দলটির অন্যতম ভরসার জায়গা।
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ হলেও দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ এগিয়ে থাকবে। কন্ডিশন বিবেচনার পাশাপাশি অতীতে এশিয়ার মাটিতে প্রোটিয়াদের ভালো করার রেকর্ড আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম শক্তির জায়গা তাদের ব্যাটিং ইউনিট। ডি কক, ডেভিড মিলারদের মতো ব্যাটাররা যে কোনো কন্ডিশনে ভালো করার সামর্থ্য রাখে। পাশাপাশি তাবরিজ শামসির মতো স্পিনাররা নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে।
তবে আশঙ্কার জায়গাও রয়েছে বেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম দুর্বলতা বোলারদের ব্যর্থতা। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে ব্যাটাররা ভালো করলেও বোলাররা সেই অর্থে জ্বলে উঠতে পারেনি। যা বড় দুশ্চিন্তার কারণ। তাই বিশ্বকাপে ভাল করতে হলে বোলারদের দায়িত্ব নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াড : টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), জেরাল্ড কোয়েটজি, কুইন্টন ডি কক, রেজা হেনড্রিকস, মার্কো ইয়ানসেন, হেনরিখ ক্লাসেন, আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো, কেশব মহারাজ, এইডেন মার্করাম, লুঙ্গি এনগিদি, ডেভিড মিলার, লিজাড উইলিয়ামস, কাগিসো রাবাদা, তাবরিজ শামসি, রাসি ফন ডার ডুসেন।