ওয়ানডে বিশ্বকাপ
জনপ্রিয়

৩৮৯ রানের টার্গেট দিয়েও মাত্র পাঁচ রানের জয় পেল অস্ট্রেলিয়া

উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে ট্রান্সতাসমান যুদ্ধ হলো জমজমাট। ধর্মশালায় রান উৎসব করলো দুই দল। অস্ট্রেলিয়া ৩৮৮ রান করেও শান্তিতে থাকতে পারেনি। রাচিন রবীন্দ্রর ঝকঝকে সেঞ্চুরির পর জিমি নিশাম তাদের ঘুম হারাম করে ছেড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৬ রানের জন্য লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ৭৭১ রানের ম্যাচে শেষ বলে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ৫ রানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড।

 

৩৮৯ রানের বিশাল লক্ষ্য। রেকর্ড গড়ে জিততে হতো। অস্ট্রেলিয়ার ছুড়ে দেওয়া এই চ্যালেঞ্জের কাছে সহজে হার মানেনি নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লেতে জশ হ্যাজেলউড পরপর দুই ওভারে ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াংকে ফিরিয়ে দারুণ শুরু এনে দেন। বড় ধাক্কা লাগলেও নিউজিল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায় ড্যারিল মিচেল ও রাচিনের ৯৬ রানের জুটিতে। মিচেল ৫১ বলে ৫৪ রান করে থামলেও রাচিন প্রতিরোধ গড়ে দলের হাল ধরেন।

 

অধিনায়ক টম ল্যাথাম (২১) রাচিনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান। গ্লেন ফিলিপসও (১২) বড় অবদান রাখতে পারেননি। ৪০ ওভারের খেলা শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ৫ উইকেটে ২৯২। কাকতালীয় ব্যাপার, একই পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়াও সমান উইকেট ও রান করেছিল।

 

রাচিন ১১৬ রানে অপরাজিত থেকে ডেথ ওভারে খেলা শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন জিমি নিশাম। কিন্তু প্যাট কামিন্স দ্বিতীয় বলেই রাচিনকে থামান আর কোনও রান করতে না দিয়েই। ৮৯ বলে ৯ চার ও ৫ ছয়ে সাজানো ছিল নিউজিল্যান্ড ব্যাটারের ইনিংস।

 

অ্যাডাম জাম্পা ও কামিন্স আরও দুটি উইকেট তুলে নিলেও নিশাম রানরেট ধরে রাখেন। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩২ রানের। ৪৯তম ওভারে বোল্ট ছক্কা ও নিশাম চার মেরে ১৩ রান তোলেন। ওই ওভারেই ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন নিশাম। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। এক ওভার স্লো রেটের কারণে শেষ ওভারে বৃত্তের ভেতরে পাঁচ ফিল্ডার রাখতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।

 

মিচেল স্টার্ক বল হাতে তোলেন, প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন বোল্ট। দ্বিতীয় বল ওয়াইড হয়ে বাউন্ডারির বাইরে। বৈধ বলে দুটি রান নেন নিশাম। দুই বলেই ৮ রান নিয়ে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তৃতীয় বলে আবার ডাবলস। চতুর্থ বলেও দুটি রান নেন নিশাম। পঞ্চম বলে তিনি দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে প্রাণপণ ডাইভ দিয়েছিলেন, কিন্তু উইকেটকিপার জশ ইংলিস ছিলেন আরও ক্ষিপ্র। নিশাম ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই ভেঙে দেন স্টাম্প। ৫৮ রানে আউট হন নিউজিল্যান্ডকে আশার আলো দেখানো এই ব্যাটার। শেষ বলে প্রয়োজনীয় ছক্কা মারতে পারেননি লকি ফার্গুসন। ১ রান নেন। তাতে রোমাঞ্চকর জয়ের আনন্দে ভাসে অজিরা। ৯ উইকেটে ৩৮৩ রান করে নিউজিল্যান্ড।

 

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাডাম জাম্পা ১০ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। ৬৭ বলে ১০৯ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ট্র্যাভিস হেড।

 

ছয় ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই আছে নিউজিল্যান্ড। সমান ম্যাচ খেলে একই পয়েন্ট নিয়ে চারে অস্ট্রেলিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button