দলে বাড়তি স্পিনার না থাকার কারণ জানালেন মুমিনুল

দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাটারদের দৈন্যদশা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে। ডারবানের উইকেট চিনতে ভুল নাকি কেবল ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই দলের এমন হার তা নিয়ে চলছে কাটাছেড়া।
ডারবানের উইকেটে স্পিন ধরতে আরে এমন আভাস মিলেছিল আগেই। দলে সাকিব আল হাসান না থাকায় আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলামকে সুযোগ দেয়া হতে পারে এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল ম্যাচ শুরু আগে। তবে এই কৌশলে না হেটে টিম ম্যানেজমেন্ট হেটেছে তিন পেসার তত্ত্বে। যেখানে একমাত্র ফুল টাইম স্পিনার ছিলেন মিরাজ।
প্রথম ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক মুমিনুল হক জানিয়েছেন একাদশ নির্বাচন নিয়ে খুঁটিনাটি বিষয়। তার মতে একজন বাড়ত স্পিনার খেলানো যেত মূল একাদশে। তবে স্পিনার খেলানোর পক্ষে থাকলেও পেসাররা ভালো করেছে বলেও মন্তব্য তার।
মুমিনুলের ভাষ্য, ‘’অবশ্যই আমি নিয়েছি (টস জিতে বোলিং)। আমি যদি চাইতাম হয়তো দুটো পেস বোলার এবং দুটো স্পিন বোলার খেলাতে পারতাম। । আমি যেহেতু অধিনায়ক, সিদ্ধান্ত তো আমারই। দল জিতলে বা হারলেও দায় আমারই।‘’
তাসকিনের ইনজুরি প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে মুমিনুল যোগ করেন, ‘’ তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপারটা আপনি যদি আমাদের পেস বোলিংটা দেখেন- আমি কিন্তু টসে জিতে বোলিং নিয়েছে এ কারণে যে- উইকেটের কন্ডিশন যেমন ছিল তা ব্যবহার করার জন্য। হ্যাঁ, একজন পেস বোলার কমিয়ে স্পিনার খেলানো যেত। তাসকিন কিন্তু অলমোস্ট ইঞ্জুরড ছিল।‘’
দলে একজন বাড়তি বোলার খেলানো হলে স্বাভাবিকভাবেই বাদ পড়তে হত একজন ব্যাটারকে। তবে মুমিনুলের মত বাংলাদেশ দল এখনও ওই পর্যায়ে যায়নি যে ছয় জন ব্যাটার ও পাঁচজন বোলার নিয়ে একাদশ সাজাবে।
মুমিনুল আরও বলেন, ‘’একটা অপশন ছিল- ছয় ব্যাটার নিয়ে খেলার। আমার মনে হয় বাংলাদেশ দল এখনও ওই পর্যায়ে যায়নি যে ছয় ব্যাটার নিয়ে বিদেশে খেলবেন। আপনি ছয় ব্যাটার নিয়ে তখনই খেলতে পারবেন যখন সব ব্যাটারের গড় ৫০- এর মতো এবং নিচের দিকে যারা খেলে তারা যদি ব্যাটিং পারে। তখন ছয় ব্যাটার ও পাঁচ বোলার নিয়ে খেলা যায়।‘’