জয়ের সেঞ্চুরিকে যে চোখে দেখছেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যচের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। দলের বাকি ব্যাটারর যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিচ্ছেন তখন একাই প্রোটিয়া বোলারদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেন জয়।
মূলত তার ৩২৬ বলে ১৩৭ রানের ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশ দলের ইনিংস থামে শেষ পর্যন্ত ২৯৮ রানের মাথায়। প্রথম ইনিংসে জয়ের এই শতকে হয়েছে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও।
এশিয়ার ব্যাটাররা যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ধুঁকতে থাকে তখন জয়ের এমন ব্যাটিংয়ের পর তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। তার মতে জয় তার মেধা ও পরিশ্রম দিয়েই নজর কেড়েছেন।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে কিভাবে ধৈর্য ধরে খেলে যেতে হয় তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জয় এমনটা জানিয়ে সিডন্স বলেন, ‘’আমি ছেলেদের বলেছি- টেস্ট ক্রিকেটে কীভাবে ব্যাট করতে হয় জয় আমাদের জন্য সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। দীর্ঘ সময় ব্যাট করার বিশ্বাসটা থাকতে হবে। নিজের রক্ষণে বিশ্বাস রাখতে হবে। দলে সাথে আছি মাত্র দুই মাস হল। মেধা, কাজ ও ধৈর্য দিয়ে সে আমার নজর কেড়েছে। নিজের খেলার প্রতি তার নিবেদন অন্যরকম। আজকের ইনিংস সেই ধৈর্যের প্রতিফলন ছিল।‘’
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল লিড নিতে পারেনি ব্যাটারদের বড় স্কোর গড়তে না পারার কারনে। জয়ের ১৩৭ রানের ইনিংস অবশ্য বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছেন সিডন্স। তবে দলের বাকি ব্যাটাররা রান না পেলেও তাদেরকে দায় দিতে চান না কোচ।
সিডন্স আরও বলেন, ‘’জয় বিলাসী শট খেলেনি। জয়ের এই বিশ্বাস আছে- সে ছয় ঘণ্টা ব্যাট করতে পারবে। যেভাবে খেলেছে তা গর্ব করার মত। পুরো ইনিংস জুড়ে কেউ ব্যাট করেছে এটা বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছু। এমন খুব বেশি ব্যাটারকে দেখিনি। এমন ধৈর্য বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে কমই দেখা যায়। যদিও এই ইনিংসে কেউ বাজে খেলেনি, ওদের ভালো বোলিং আর রান আউটের শিকার হয়েছি আমরা।‘’