বাংলাদেশ ক্রিকেট

আফিফ-মিরাজদের খেলা দেখে মুগ্ধ পাপন

টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ওপেনার খুঁজে পাওয়া যেন ‘সোনার হরিণ’। ওপেনিং সমস্যা যেন কিছুতেই কাটতে চায়না যা দুঃশ্চিন্তার কারন হয়ে দাড়াচ্ছে টিম মেনেজমেন্টের জন্য।

তবে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষার পর ওপেনিংয়ে ধারাবাহিক ওপেনারের সংকট অনেকটা কাটছে বললেও চলে। কারন বাংলাদেশের হয়ে শেষ ৩ টি২০তে ওপেনিংয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে মেহেদী মিরাজ। মিরাজের এমন পারফর্মেন্সে বিমোহিত ভক্তরা। তবে মিরাজের এই পারফর্মেন্সে মন কেড়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনেরও।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে পঞ্চপান্ডবের কেউই দলে ছিলেন না। তাই তরুণদের জন্য সুযোগ ছিল নিজেদের প্রামণ করে দেখানোর। এই সুযোগ হাতছাড়া করেননি মিরাজ, আফিফ হোসেন কিংবা নয়া অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা নুরুল হাসান সোহান।

মিরাজ ব্যাটিং-বোলিং এ দলকে সাপোর্ট দিয়েছেন আরব-আমিরাতের সাথে সিরিজে। প্রথম ম্যাচে খুব বেশি রান  না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে মিরাজ প্রমান করেছে যে ওপেনিংয়ে সে যুগোপযোগী। পাশাপাশি বল হাতেও অবদান রয়েছে মিরাজের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফিফের উন্নতির চাপ স্পষ্ট ছিল এই সিরিজে।

প্রথম ম্যাচে ৭৭ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন আফিফ। দলের বিপর্যয়ের মুহূর্ত থেকে আফিফের ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশ ভালো রানের পুঁজি পায়। আফিফ তার ক্লাসিক শট দিয়ে জানান দিয়েছেন যে কতটা পারে সে। দারুন অধিনায়কত্বের পাশাপাশই দুই ম্যাচের দুইটিতেই শেষ দিকে সোহান কার্যকারী ইনিংস খেলেছেন। সোহানের ঝড়ো ব্যাটিং ও হার্ড হিটিং এবিলিটি প্রশংসাযোগ্য।

তবে তরুনদের এমন পারফর্মেন্স যেমন মন কেড়েছে ভক্তদের, ঠিক তেমনই নজর কেড়েছে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের। তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আফিফের ব্যাটিং দেখতেই ভালো লাগে। তার মানে এই না সে প্রতিদিনই রান করবে, সেটা বলছি না। সোহানের খেলা দেখতে খুবই ভালো লাগে। মেহেদী হাসান মিরাজের মতো প্লেয়ার, যাকে আমরা টি-টোয়েন্টিতে বিবেচনাই করতাম না। তার ইম্পেক্ট খেলার মধ্যে থাকে। হয়তো ক্যাচ নেয় ফিল্ডিংয়ে নাহলে ব্যাটিংয়ে, না হয় বোলিংয়ে কোথাও না কোথাও সে কিছু একটা করছেই। আমি বলছি যে আমার হাতে অনেকগুলো অপশন।”

বিসিবি সভাপতি আরো বলেন, ‘আমাদের টিমের কম্বিনেশনটাই বানানো যাচ্ছিলো না। আমাদের আইডিয়া ছিল কিছু কিছু নতুন ছেলে ঢোকাতে হবে। এটা ছিল প্রথম পরিকল্পনা। এরমধ্যে সাকিব ছাড়া বাকিরা একেবারের নতুন না হলেও পরের। কয়েকটা ছেলের খেলাতো অসম্ভব ভালো লাগে। লিটন দাসের খেলা যেমন ভালো লাগতো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button