হেক্সা মিশন পূরণ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া?
বিশ্বকাপ মানেই অস্ট্রেলিয়ার জয়জয়কার। এ পর্যন্ত পাঁচ বার বিশ্বকাপ জিতেছে দলটি। এবারও শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে ভারতে পা রেখেছে প্যাট কামিন্সের দল। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ আছেন ব্যাটিং অর্ডারে ভরসার পাত্র হিসেবে।
যদিও বিশ্বকাপ দলে শুরুতে ছিলেন না মারনাস লাবুশেন, তবে পরে জায়গা পেয়েছেন তিনি। লাবুশেনকে দলে যোগ করায় ব্যাটিং লাইনআপ আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি শেষ আট ইনিংসে ব্যাট করে ৪২১ রান করেছেন এবং তার গড় স্কোর ষাটের বেশি। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে এই ব্যাটার আছেন দুর্দান্ত ফর্মে।
[আরও পড়ুন: দুর্ভাগ্যের ইতিহাস পাল্টাতে পারবে প্রোটিয়ারা?]
এছাড়া মারকুটে ব্যাটার হিসেবে আছেন মিচেল মার্শ, মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। সামগ্রিকভাবে, অজিদের দলের একটি শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ রয়েছে যা যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের একটি শক্তিশালী দল রয়েছে যারা দ্রুত গতিতে করতে পারে। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স এবং জশ হ্যাজেলউড তাদের সেরা বোলার। এই অভিজ্ঞ বোলারদের সঙ্গ দিতে আছেন শন অ্যাবট, মার্কাস স্টোইনিস এবং মিচেল মার্শ। মিচেল স্টার্ক বিশ্ব নন্দিত পেসার। ২০১৫ বিশ্বকাপেও সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়। আট বছর পর এখনো তিনি বিশ্বসেরা বোলারদের একজন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার দুশ্চিন্তা হলো স্পিন। ভারতের মাটিতে স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা পায়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দলে আছেন মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার, তাও তিনি লেগ স্পিনার। লেগি অ্যাডাম জাম্পা ছাড়া অফস্পিনের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে নির্ভর করতে হবে পার্ট টাইমারদের ওপর। সেখানে সবচেয়ে বড় ভরসা হিসেবে আছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে ছিলেন আরেক অফ স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগার, কিন্তু চোটের কারণে তিনি ছিটকে পড়ায় এই ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দল: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, ট্রাভিস হেড, স্টিভেন স্মিথ, মার্কাস স্টয়নিস, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারি, জন ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যাশটন অ্যাগার, অ্যাডাম জ্যাম্পা, জশ হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও শন অ্যাবট।