দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলছে ইংল্যান্ড?
![](https://i0.wp.com/bn.tigercric.com/wp-content/uploads/2023/10/দ্বিতীয়-শিরোপা-ঘরে-তুলছে-ইংল্যান্ড.jpg?resize=780%2C422&ssl=1)
টাইগার ক্রিক ডেস্ক : আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের এবারের অন্যতম হট ফেভারিট দল ইংল্যান্ড। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হলেও এবারের শিরোপা ঘরে তোলার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি দাবিদার ইংল্যান্ডের বর্তমান দলটি । কেননা বিশ্বকাপে ডাক পাওয়া প্রত্যেকটি সদস্যই যেকোনো মুহূর্তেই ম্যাচের মোর ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন।
ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রথম অংশ গ্রহন ১৯৭৫ সালে। একে একে ১২টি আসরে অংশগ্রহণ করলেও অধরাই থেকে যায় শিরোপার সপ্ন। শিরোপার খুব কাছে গিয়েও তিনবার খালি হাতে ফিরতে হয় ইংলিশদের। ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ বিশ্বকাপে রানার্স আপ হলেও দীর্ঘ এই প্রতীক্ষার অবসান ঘটে ২০১৯ সালে। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলেন ইয়োইন মর্গানরা।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের তকমা নিয়ে খেলতে নামলেও টানা দ্বিতীয় শিরোপার জন্যে মরিয়া হয়ে আছে ইংলিশরা। বর্তমান ফর্ম বিবেচনায়ও শিরোপার যোগ্য দাবিদার থ্রি লায়ন্সরা। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ডের। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে এক বলও খেলা হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন বাটলার বাহিনী। বাংলাদেশী বোলারদের একপ্রকার তুলোধুনো করেছেন ইংলিশ ব্যাটাররা।
এছাড়াও বিশ্বকাপ খেলতে উড়াল দেওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেন জস বাটলার বাহিনী। প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছিলেন রুট, স্টোকসরা। এর ফলে বিশ্বকাপের মূলপর্বেও এই জয় বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে ইংলিশদের।
ব্যাটিং বোলিং কিংবা ফিল্ডিং সব ইউনিটেই পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই খেলতে নামবে তারা। ইংল্যান্ডের অন্যতম শক্তির জায়গা তাদের ব্যাটিং ইউনিট। জস বাটলার, মঈন আলী, বেন স্টোকস, দাভিড মালানদের মতো ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে পটু। পাশাপাশি আদিল রশিদ-ডেভিড উইলিদের মতো বোলাররা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের জন্য ভয়ের কারণ।
স্যাম কুরান, ডেভিড উইলি, রিস টপলি, আদিল রশিদ প্রতেক্যেই অভিজ্ঞ। এমনকি বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরেছেন এ বোলাররা। তবে ইংলিশ শিবিরে সুযোগ পাওয়া গাস অ্যাটকিনসন সে তুলনায় খানিকটা পিছিয়েই থাকবেন। অভিজ্ঞতা ও অলরাউন্ডদের মেলবন্ধনে দারুণ স্কোয়াড সাজিয়েছে ইংল্যান্ড। যেখানে তিন ইউনিটেই ভারসাম্য বজায় রেখেছে ইংলিশরা।
তবে ইংলিশদের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারদের পাল্লা খানিকটা ভারিই। আসন্ন বিশ্বকাপে মঈন আলীর সঙ্গে আছেন লিয়াম লিভিংস্টোন, বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস। এদের প্রতেক্যেই নিজেদের দিনে কতখানি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন সেকথা ক্রিকেট বিশ্ব ভালোভাবেই জানে।
তবে কিছু জায়গায় হোচট খেতে পারেন জস বাটলাররা। সবসময় পেস কন্ডিশনে খেলা ইংলিশরা কোয়ালিটি স্পিনারদের বিপক্ষে বেশ ভুগতে দেখা যায়। এর আগেও ভারতের মাটিতে স্পিনারদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ইংলিশ ব্যাটারদের। তাই বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের স্পিন আক্রমণ সামলাতে একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হবে ইংল্যান্ডকে।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের দল: জস বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলী, গাস অ্যাটকিনসন, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম কারান, লিয়াম লিভিংস্টোন, দাভিড মালান, আদিল রশিদ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস, রিস টপলি, ডেভিড উইলি, মার্ক উড, ক্রিস ওকস।