সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের ৭টি সমালোচিত ঘটনা
![](https://i0.wp.com/bn.tigercric.com/wp-content/uploads/2022/10/shakib.jpg?resize=780%2C470&ssl=1)
বাংলাদেশ দলের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। অথবা যদি ভিন্নভাবে বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণভোমরা বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। দেশের জার্সিতে অভিষেক হবার পরই জানান দিচ্ছিলেন দেশের ক্রিকেটের আকাশে এক নক্ষত্রে পরিণত হতে যাচ্ছেন তিনি। একের পর এক রেকর্ড গড়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এই ক্রিকেটার। সেই সাথে নামের পাশে জুটেছে বিশ্বসেরা হবার খেতাবও। তবে এতো গেল মাঠের ক্রিকেটের কথা। এর বাইরেও যে সাকিব সবসময় থেকেছেন আলোচনা আবার কখনও সমালচনায়।
এবার দেখে নেয়া যাক সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ৭টি আলোচনা/সমালোচনা
১। অশালীন অঙ্গভঙ্গি
২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ চলাকালে ড্রেসিংরুমে বসে ক্যামেরার দিকে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন সাকিব। এমন কাণ্ডে যখন সমালোচনার ঝড় ওঠে তখন সাকিবের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল দেশের ক্রিকেট বোর্ডও। এই অলরাউন্ডারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ৩ ম্যাচের জন্য। সেই সাথে তাকে জরিমানাও করা হয়েছিল ৩ লাখ টাকা।
২। অনুমতি না নিয়ে সিপিএল খেলা
সারাবিশ্বে চলা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলর মধ্যে অন্যতম টুর্নামেন্ট হচ্ছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। এই টুর্নামেন্টে সাকিব আল হাসানও ছিলেন নিয়মিত সদস্য হয়েই। তবে ২০১৪ সালেই সিপিএল খেলতে যাওয়ার সময় মাঝপথ থেকে ফেরত আসেন সাকিব। বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়, বোর্ডের অনাপত্তিপত্র না নিয়েই সিপিএল খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাকিবকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ৬ মাসের। যদিও পরে তা কমিয়ে ৩ মাস করে দেয়া হয়েছিল।
৩। দর্শকদের সাথে দুর্ব্যবহার
মাঠে ক্রিকেট দেখার জন্য দর্শকরা যখন ক্রিকেটারদের বাড়তি প্রেরনা দেন তখন সেই দর্শকদের সাথেই একবার নয় দুইবার দর্শকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিলেন সাকিব। তৎকালীন সমালোচনার প্রধান খোরাক ছিলেন সাকিব।
৪। ২০১৯ বিশ্বকাপ
২০১৯ বিশ্বকাপের আসর শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের জার্সি উন্মোচন করা হয়েছিল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তবে বিশ্বকাপের আগে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে দলের সাথে ছিলেন না সাকিব। দর্শকরা হতাশা প্রকাশ করার পাশাপাশি সমালোচনা হয়েছিল বেশ।
৫। অধিনায়কত্ব
২০১৯ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যখন সিরিজ খেলছে তখন ছুটিতে ছিলেন সাকিব। এরপর আফগানিস্তানের সাকিবের বিপক্ষে সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল হেরেছিল খুবই হতাশাজনকভাবে। এরপর প্রশ্ন উঠেছিল সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়েও।
৬। ক্রিকেটারদের আন্দোলন
দেশের ক্রিকেটাররা ঠিকমত কোনো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না এমন অভিযোগে আন্দোলনে নামে দেশের ক্রিকেটাররা। যেখানে সবার সামনে ছিলেন সাকিব আল হাসান। দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে ও দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মানোন্নয়নে বোর্ডের অবহেলা থেকে ক্রিকেটারদের রক্ষা করার আন্দোলনে নেমেছিলেন সাকিব। তবে এতটুকু পর্যন্ত সুনাম কুড়ালেও এরপরই আসে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। আইপিএলে জুয়ারির প্রস্তাব গোপন করে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। এক্ষেত্রে অবশ্য বোর্ডের অবস্থান ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
৭। বোর্ড নিয়ে মন্তব্য
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের নিয়ে মন্তব্য করে সর্বশেষ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বোর্ডের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হবার কারনে দেশের ক্রিকেট পিছিয়ে পড়ছে, এমন অভিযোগ করে বসেন সাকিব। এরপর সাকিবের সাথে সুর মিলিয়ে বোর্ডের অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। ৮। বেটউইনারের সাথে চুক্তি। জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের সাথে চুক্তিতে সেখানকার ‘এম্বাসেডর’ হোন সাকিব। নিজস্ব অফিসিয়াল পেইজে ছবিসহ বিষয়টি পোস্টের পর উঠে ব্যাপক সমালোচনা। তবে বিসিবি পর্যন্ত পৌঁছালে বোর্ডের আদেশ আসে ক্রিকেট বা বেটউইনারকে বেছে নেওয়া। শেষপর্যন্ত, বেটউইনারের সাথে চুক্তি বাতিল করেন সাকিব।