বিপিএলের এবারের আসরে চট্টগ্রাম চেলেঞ্জার্স শুরুটা দারুণ করলেও সল্প সময়ের মধ্যেই জড়িয়ে যায় বিতর্কে। প্রথম চার ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজকে দেখা গেলেও হুট করেই তাকে সরিয়ে নতুন অধিনায়ক করা হয় নাঈম ইসলামকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অপেশাদারী আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছাড়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন মিরাজ। যদিও শেষ পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয় ঘটনার।
এদিকে মিরাজের এমন কাণ্ডের পর বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বিসিবিকেও পড়তে হয়েছিল নানা সমালোচনায়। ফলে শেষ পর্যন্ত মিরাজ ও চট্টগ্রাম চেলেঞ্জার্সের মালিক পক্ষকে ডাকা হয় বিসিবিতে।
দুই পক্ষের এমন আচরণ টুর্নামেন্টকে সমালোচনার মুখে ফেলায় অনুতপ্ত হয়েছে তারা এমনটা জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দায় মল্লিক। পরিনতি বিবেচনা না করেই এমন আচরণ করেছে দুই পক্ষ এমনটাও জানানো হয় এই সদস্য সচিবের পক্ষ থেকে।
বিসিবিতে দুই পক্ষের সাথে আলোচনা শেষে ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, ‘’মিরাজ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি দুই পক্ষই স্বীকার করেছেন, তারা পরিণতি বিবেচনা না করেই এমন আচরণ করেছেন। দুই পক্ষের ভুল বোঝাবুঝি ছিল যা দলের মধ্যেই সমাধান করা যেত। বোর্ড ও টুর্নামেন্টকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলায় তারা অনুতপ্ত।‘’
অধিনায়কের পদ থেকে মিরাজকে সরানো নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে জানিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘’মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তাকে ম্যাচের আগেই বিষয়টি জানানো হয়েছিল। বোর্ড দুই পক্ষকেই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করেছে। বোর্ড শৃঙ্খলার বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।‘’
