ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগবিপিএল

তারকাবহুল ঢাকার আত্মসমর্পন চট্টগ্রাম চেলেঞ্জার্সের কাছে

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরের আজ দ্বিতীয় দিনে চতুর্থ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে মেহেদী হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স উইক জ্যাকস,সাব্বির আর বেনি হাওয়েলের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স সংগ্রহ ঝড়ো করে ৮ উইকেটে ১৬১ রান। শুরুতেই ঝড় তোলেন উইল জ্যাকস, বেনি হাওয়েল ও দেশি সাব্বির রহমান।

মিনিস্টার ঢাকার অধিনায়ক এদিন মেহেদী হাসান মিরাজকে আমন্ত্রণ করেন ব্যাট করার। প্রথম তিন ওভারে দাপট দেখান ঢাকার বোলাররা। কেনার লুইসকে এলবিডব্লিউ করে শুরুর ব্রেকথ্রু এনে দেন অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন। অপর ওপেনার ইংলিশ উইল জ্যাকস সব আলো কেড়ে নেন। তার চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে মোমেন্টাম নিজেদের করে নেয় চট্টগ্রামের এই মারমুখী ওপেনার ।

তবে আকাশের ঝিলিকের মত নিজেদের মোমেন্টাম নিজেরাই হারিয়ে ফেলে চ্যালেঞ্জার্স মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান কারনে। পাঁচ বলের ব্যবধানে আফিফ হোসেন ও জ্যাকসকে সাজঘরের পথ দেখান যথাক্রমে আরাফাত সানি ও শুভাগত হোম চৌধুরী। ২৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রান করেন জ্যাকস। ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। দারুণ ছন্দ পাওয়া চট্টগ্রাম জোড়া ধাক্কায় একটু শ্লথ হয়ে যায়। তবে দ্রুতই তা সামলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান।

অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও অভিজ্ঞ সাব্বির রহমান চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, যদিও পার্ট-টাইমার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রথম বলেই নিজের ভুলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন মিরাজ। চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিরাজ করেন ২৫ বলে ২৫ রান, তার ইনিংস থেকে আসে চারটি চার।

সাব্বিরও ফেরেন এইদিন রানে, তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। ১৭ বলে ২৯ রানের দ্রুত ইনিংস খেলে রুবেল হোসেনের এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে পুরোপুরি পরাস্ত হয়ে আউট হন সাব্বির। তার ব্যাট থেকে আসে দুইটি করে চার ও ছক্কা। একই ওভারে শামীম হোসেনকেও শিকার করেন রুবেল। থার্ড ম্যানে আন্দ্রে রাসেলের তালুবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শামীম।

ঢাকার পক্ষে সফল বোলার রুবেল হোসেন তিনটি উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি।

এই রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ো শুরু করেন তামিম ইকবাল অপরপ্রান্তে দর্শক হয়েই ছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর শিকার হয়ে দলীয় ৪৬ রানে বিদায় নেন শাহজাদ। জহুরুলকে নিয়ে ঢাকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক হাঁকান তামিম। বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান শিকারে এদিন মুশফিকুর রহিমকে টপকে তিনি বসেছেন শীর্ষে।

৮৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ঢাকা। এক চার ও এক ছক্কা হাঁকিয়ে রাসেল কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও নাসুম আবার বোলিংয়ে এসে তাকেও শিকার করেন। ১০ বলে ১২ রান করেন রাসেল, আউট হন শামিমের তালুবন্দি হয়ে।

শেষ পর্যন্ত ঢাকা ১ বল বাকি থাকতেই ১৩১ রানে অল-আউট হয়। ৩০ রানের জয় পেয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম। নাসুম চার ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ কর নেন তিনটি উইকেট। ৩৪ রান খরচ করে চারটি উইকেট পান শরিফুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৬১/৮ (২০ ওভার) জ্যাকস ৪১, হাওয়েল ৩৭, সাব্বির ২৯, মিরাজ ২৫ রুবেল ৩/২৬
মিনিস্টার ঢাকা: ১৩১/১০ (১৯. তামিম ৫২, উদানা ১৬, শুভাগত ১৩, রাসেল ১২, নাসুম ৩/৯, শরিফুল ৪/৩৪।
-আব্দুর রহমান, টাইগারক্রিক ডেস্ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button