![](https://i0.wp.com/bn.tigercric.com/wp-content/uploads/2022/04/bd-.jpg?resize=761%2C400&ssl=1)
জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সিরিজের ব্যস্ত সূচি থাকার কারনে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশিরাভগ সময়ই জাতীয় দলে থাকা ক্রিকেটারদের পাওয়া যায় না। বিশেষ করে লঙ্গার ভার্সনের ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অনিয়মিতই বলা চলে।
লাল বলের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খুব একটা খেলতে না পারার কারনে এর প্রভাব আন্তর্জাতিক ম্যাচের ক্ষেত্রেও পড়ছে বলে মনে করেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।
টেস্ট ক্রিকেটে লড়াকু মানসিকতা তৈরির ক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেটে লঙ্গার ভার্সনে খেলা জরুরি মনে হলেও বিসিবি প্রেসিডেন্ট বিরতি না থাকার কারণকেও দেখছেন আলাদা চোখে। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আরও কিছু স্পেশালিস্ট ক্রিকেটার খুঁজে বের করতে হবে বলেও মনে করেন পাপন।
বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘’সমস্যা হল আমাদের টেস্টে যারা খেলছে তাদের বেশিরভাগই ঘরোয়া লঙ্গার ভার্শন খেলে না। ঐ অভ্যাসটা তো নেই। এটা হতেই পারে। এখন যে টানা খেলা, বিরতিই তো নেই। ইচ্ছা করলেও ওদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলাতে পারব না। ওদের ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট না করলে খেলাই বন্ধ করে রাখতে হবে।‘’
তিন ফরম্যাটে খেলতে গিয়ে ক্রিকেটারদের উপর বাড়তি ধকল চলে আসে সেটা স্পষ্ট। একাধিক ক্রিকেটার ইতোমধ্যেই বেছে নিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাট। পাপনের মতে সব ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া একজন ক্রিকেটারের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তিনি যোগ করেন, ‘’আমাদের টেস্টের জন্য আরও কিছু স্পেশালিস্ট খেলোয়াড় তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই। এত খেলা আসলেই সবার পক্ষে সম্ভব না।‘’
সাদা পোশাকের ফরম্যাটে ম্যাচ বেশি থাকায় স্বভাবতই ক্রিকেটারদের উপর ধকল একটু বেশি যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে। ফলে ক্রিকেটাররা যেন মানিয়ে নিতে পারেন এজন্য আরও বাড়তি সময় দেয়ার পক্ষেই মত দেন বিসিবি বস। তার ভাষ্য, ‘’এখন টেস্ট কম বললে ভুল হবে। প্রচুর টেস্ট। আগের সাথে তুলনা করে লাভ নেই। আমরা টেস্টে নজর দেওয়ার কারণ এটাই। এখন যে এত খেলা, এত খেলায় তো আমাদের খেলোয়াড়রা অভ্যস্ত না। শারীরিক, মানসিকভাবে অভ্যস্ত না। ওদেরও মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে।‘’