আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। যেখানে পেসারদের জন্য সহায়ক উইকেটই পাওয়া যাবে। সব দলই একাদশে বাড়তি পেসার রাখবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চার পেসার নিয়েই মাঠে নামবে। অথচ ভারত স্কোয়াড সাজিয়েছে মাত্র চার বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার মিচেল জনসন বলছেন ঝুঁকি নিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে ভারত।
অভিজ্ঞ ভুবেনেশ্বর কুমার, জাসপ্রতি বুমরাহর সাথে হার্শাল প্যাটেল ও আর্শদীপ সিংকে নিয়ে স্কোয়াড গড়েছে ভারত। যেখানে বেশ অনভিজ্ঞ আর্শদীপ, মাস দুয়েক আগে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় এই বাঁহাতি পেসারের। তবে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়া ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।
তবে চোট কিংবা কন্ডিশনের দাবি মেটাতে মেপে মেপে পেসার দলে নেওয়াকে অনেকেই ভারতের পিছিয়ে থাকার কারণ বলছেন। মোহাম্মদ শামি ও দীপক চাহারকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। তবে তাদের বাদ দিয়েই দল গড়েছে নির্বাচকরা।
এদিকে ভারতে বর্তমানে চলছে সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট লেজেন্ডস লিগ। খেলছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা পেসার জনসন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের কম পেসার নিয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াড গড়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তার মতে, ‘দলে যদি একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার, কয়েকজন স্পিনার ও চার জন ফাস্ট বোলার রাখা হয়, তাহলে এটা একটু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তবে ভারত সম্ভবত দুইজন পেসার, একজন অলরাউন্ডার (হার্দিক পান্ডিয়া) ও দুই জন স্পিনার খেলানোর ভাবনায় আছে।’
‘অস্ট্রেলিয়ায় নিশ্চিতভাবে তিন জন ফাস্ট বোলার খেলাতে হবে, কিছু কিছু কন্ডিশনে সম্ভব হলে চার জন, যেমন পার্থে। আমার ধারণা, তাদের পরিকল্পনা আছে। তবে যদি চার পেসার নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে কাজটা একটু ঝুঁকির।’
অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে শুধু গতি নয় বরং জুটি বেঁধে বল করাই হতে পারে সাফল্যের পাথেয়। এমনটাই মনে করেন সাবেক অজি বাঁহাতি পেসার।
তার ভাষ্য, ‘এই বিষয়গুলো মজার (সবারই ১৪৫ এর বেশি গতিতে বল করতে হবে)। কেউই যদি ১৪৫ কিমি এর বেশি গতিতে বল করতে পারে, একই গতিতে বল করার জন্য আরেকজনকে দরকার নেই। প্রয়োজন এমন বোলারের যারা পরস্পরকে সহায়তা করবে, একসঙ্গে কাজ করবে।’