ক্রিকেট ফ্যাক্টফিচারবাংলাদেশ ক্রিকেট

‘আমারও আত্মসম্মান আছে’

বিশ্বকাপের দল থেকে তামিমের বাদ পড়া নিয়ে বিগত কয়েকদিন থেকেই চলছে ব্যাপক আলোচনা। তবে সেই আলোচনায় আরো যুক্ত হয়েছেন তামিম ইকবালের বড় ভাই নাফিস ইকবালের বিশ্বকাপ থেকে ‘টিম ম্যানেজার’ হিসবে বাদ পড়ার খবর।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের ২য় ওয়ানডে চলাকালীন ম্যাচের মধ্যেই ড্রেসিং রুম ছাড়েন নাফিস। মঙ্গলবারের এই ঘটনার আগেই সোমবার থেকে আলোচনায় ছিলেন তামিম। তবে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের ‘ম্যানেজারের’ দায়িত্ব পালন করা নাফিস ইকবালের বাদ পড়া যেন নতুন প্রশ্ন তুলে।

বুধবার বিকেলে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ে। এরপরই এক ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপ দলে নিজের না থাকা এবং গত কয়েকদিন ধরে চাউর হওয়া গুঞ্জন প্রসঙ্গে কথা বলেন তামিম। ওইদিন রাতেই  টি-স্পোর্টসে প্রচারিত হয় সাকিবের সাক্ষাৎকার।

সেই সাক্ষাতকারে নাফিস ইকবালের স্ব-ইচ্ছায় দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে সমালোচনা করেন সাকিব। তবে সাকিবের এমন বক্তব্যের পর নাফিস নিজেই জানান সবটা। তামিমের কারনে কিংবা স্ব-ইচ্ছায় দল না ছাড়ার ব্যাপারটিও খোলাসা করেন তিনি।

নাফিস ইকবাল তার ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডের সময় আমার জাতীয় দল ছাড়ার পদক্ষেপটি আবেগের বাইরে ছিল৷ কারণ ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের দিন সকালে আমাকে জানানো হয়েছিল, আমি বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে টিম ম্যানেজার হিসেবে থাকব না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমিও মানুষ এবং অন্য সবার মতো আমারও আত্মসম্মান আছে।’

তিনি আরও লিখেন, ‘আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার ছোট ভাই তামিম ইকবালের চলমান পরিস্থিতির সঙ্গেও আমার এই পদক্ষেপের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ৬/৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়।’

নাফিস লিখেছেন, ‘আমি সেদিন বোর্ডের সাথে প্রটোকল এবং আচরণবিধি পুরোপুরি বজায় রেখেছি। মাঠে আসার আগে প্রধান কোচ এবং পরে বিসিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আমার মতামত জানিয়েছিলাম।’

জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার লিখেন, ‘আমি নিশ্চিত করেছি যে, আমি প্লেয়ার লিস্টে নিয়মমাফিক স্বাক্ষর করেছিলাম এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজের কাগজপত্র অ্যাকাউন্টস বিভাগে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। আর বিশ্বকাপের জন্য আমাকে দেওয়া দৈনিক ভাতা ফেরত দেওয়াসহ কোনো কাজ অর্ধেক করা হয়নি।’

তিনি আরও লিখেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পরিস্থিতিগুলো কিছু সম্মানের যোগ্য এবং কেউ ঘটনাগুলো সম্পর্কে না জেনে তার মতামত দিতে পারে না। আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সৎ ছিলাম এবং এখন বাংলাদেশ জাতীয় দল পরিচালনার অংশ হিসেবে আমি আমার সেরা আউটপুট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি এবং তাই করে যাব।’ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button