
৫ অক্টোবর ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ কিউইদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে। তবে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে পরাজয়ের ফলে প্রথমবারের মত কিউইদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ হারলো টাইগাররা।
এই সিরিজ হার এ বছর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় সিরিজ হার। এর আগে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারে টাইগাররা। তবে এবার মিরপুরে বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের কাছে হারতে হয় বাংলাদেশকে।
প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সিরিজ এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা হারায় বাংলাদেশ। ফলস্বরুপ ৩য় ম্যাচে সিরিজ হার ঠেকানোর লক্ষ্যে শান্তর অধিনে দলে আনা হয় একাধিক পরিবর্তন। ফেরানো হয় দলে অভিষিক্ত জাকির হোসেনকে।
দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২৫৪ রান করে নিউজিল্যান্ড। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪১.১ ওভারে ১৬৮ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৮৬ রানে হারে টাইগাররা। সেই ম্যাচে ১-০ তে এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
আজ মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। বোর্ডে মাত্র ৮ রান জমা হতেই আউট হোন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া ওপেনার জাকির হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম।.
দলকে খেলায় ফেরানোর আগেই আউট হন তাওহিদ হৃদয়। ৩৫ রানে তিন উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে তারা ৫৩ রানের ভালো জুটি গড়েন।
এক সময়ে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৩৭ রান। এরপর চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে মাত্র ৩৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪.৩ ওভারে ১৭১ রানেই অলআউট বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮৪ বলে ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন অধিনায়ক শান্ত। এছাড়া ২১ রান করেন সাবেক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৮ রান করে করেন তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। বাকিরা অবশ্য ভালো রানের দেখা পায়নি।
সিরিজ জয়ের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৯১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন উইল ইয়ং ৭০ রান। ৫০ রান করেন হেনরি নিকোলস। টাইগারদের হয়ে বল হাতে সাফল্য পায় শুধুমাত্র শরিফুল ও নাসুম। শরিফুল শিকার করে ২ উইকেট এবং নাসুম ১ উইকেট। বাকিরা ছিলেন উইকেটশুন্য।