হ্যাটট্রিকের কথা নিজেও ভাবেননি মৃত্যুঞ্জয়

বিপিএলের অষ্টম আসরে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন তরুণ পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। চট্টগ্রাম চেলেঞ্জার্সের হয়ে নিজের অভিষেক বিপিএল ম্যাচেই সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে এই হ্যাটট্রিকের দেখা পান মৃত্যুঞ্জয়।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট মাতানো মৃত্যুঞ্জয় এদিন সেট ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়কে প্রথমে সাজঘরে ফেরত পাঠানোর পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রবি বোপারাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। যেখানে চট্টগ্রাম ম্যাচ জিতে নেয় ১৬ রানে।
এদিকে সিলেটের বিপক্ষে এমন জয় তুলে নেয়ার পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েই দুর্দান্ত তিনটি ডেলিভারি করতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। সেই সাথে প্রথম দিকেও নার্ভাস ছিলেন না বলে জানান এই পেসার।
মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘’সত্যি কথা বলতে গেলে প্রথম দিকে নার্ভাস ছিলাম না। প্রথম দিকে আমার পরিকল্পনাই ছিল ইয়র্কার ভালোভাবে করব। প্রথম ওভারে এক্সিকিউশন খুব ভালো হয়েছে, এ কারণে প্রথম দিকে কোনো চাপ ছিল না। প্রথম দিকে যেহেতু দুইটা ওভার ভালো হয়েছে, ইয়র্কারও খুব ভালো পড়ছিল এ কারণে শেষের দিকে খুব ভালো আত্মবিশ্বাস ছিল যে ইয়র্কার খুব ভালো পড়বে। তো সেটাই পড়েছে।‘’
সিলেটের বিপক্ষে এই ম্যাচে নতুন অধিনায়ক নাঈম ইসলামের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম চেলেঞ্জার্স। অভিজ্ঞ অধিনায়কের পরামর্শেই স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বল করেছেন বলেও জানান এই পেসার।
তিনি যোগ করেন, ‘’অধিনায়ক অসাধারণ একটা পরিকল্পনা দিয়েছিলেন, স্টাম্প টু স্টাম্প বল করার। প্রথম ওভারটা হয়ত ওরকম হয়নি, তবে চেষ্টা করেছি এবং পরবর্তী ওভারগুলোতে ইয়র্কার হয়েছে।‘’
বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিকের দেখা পাবেন তা নিজেও ভাবেননি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘’প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে পাঁচ উইকেট আর হ্যাটট্রিকের। তবে এরকম পর্যায়ের খেলায় প্রথম ম্যাচে নেমেই হ্যাটট্রিক করে ফেলব ভাবিনি। তবে এক্সিকিউশন যেহেতু ভালো হয়েছে, সে ক্ষেত্রে প্রাপ্তি বলা যায়।‘’