ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগবিপিএল

সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছে সিলেট

বিপিএলের এবারের আসরে একের পর প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে সিলেট সানরাইজার্স। টুর্নামেন্টে দলটির হঠাৎ করে অধিনায়ক পরিবর্তন করা, নাজমুল অপুকে ম্যাচে বোলিং না করানো, রবি বোলারার বল টেম্পারিং কাণ্ড কিংবা মাঠে ক্রিকেটারদের শরীরীভাষা সবকিছু মিলিয়ে যেন এক সন্দেহের আখড়া দলটিকে ঘিরে।

এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ব্যর্থ দল হিসেবে থাকা সিলেটের এহেন কাণ্ড যখন নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি করছে তখন দলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুদরত ই ইবতিহাজ জয় প্রকাশ্যে এনেছেন সব আলোচনা।

দলের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘’সন্দেহের যে কথাটা বলেছেন এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো কিছু আমার কাছে আসেনি। বিসিবির গভর্নিং কাউন্সিল থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। বিসিবির আকসু থেকেও আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে লোকজন আছেন। তারাও এখন পর্যন্ত আমাকে ওইভাবে কোনো কিছু জানাননি।‘’

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে অধিনায়কত্ব থেক সরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে জানাতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘’রবি বোপারার অধিনায়কত্বের ব্যাপারটা আমিও জেনেছি, কারণ মোসাদ্দেক নিজের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে বেশি খেয়াল রাখতে চাইছিল এই কারণে সে শেষ মুহূর্তে রবি বোপারাকে বলেছে এবং কোচ মোসাদ্দেক মিলেই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে যে রবি বোপারা অধিনায়কত্ব করবে।‘’

অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার ম্যাচেই রবি বোপারার বল টেম্পারিং কাণ্ডের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে ইবতিহাজ যোগ করেন, ‘’এটা আসলে নাকল বোলিং বলে আর কি। আমি যেটা পরে জানতে পেরেছি যে এটা হচ্ছে নাকল বোলিং, বিসিবির অথোরাইজড টিম ম্যানেজমেন্ট, বিসিবির রেফারি যারা আছেন ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়ে এটার ব্যাপারে ভবিষ্যতে যেভাবে নিয়ম আছে সেভাবে দেখছেন জিনিসটা।‘’

বল হাতে সিলেটের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন নাজমুল ইসলাম অপু। তবে এক ম্যাচে তাকে বল না দেয়ার কারনও খোলাসা করেছেন সিলেটের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার ভাষ্য, ‘’আমি কোচ অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ওনারা বলেছেন, খুব ভালো ফর্মে খেলছিল বাঁহাতি ব্যাটার সৌম্য সরকার। ফলে সেই মুহূর্তে অপুকে বল করালে রেজাল্ট ভালো আসত না। সেটার উপর ভিত্তি করে অপুকে বল করানো হয়নি শেষ ম্যাচে।‘’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button