শত্রুর মাঠে কতোটা জ্বলে উঠবে পাকিস্তান?
আনপ্রেডিকটেবল আর পাকিস্তান – দুটি শব্দের মেলবন্ধন ভালো করেই জানেন ক্রিকেট সমর্থকরা। তাই বিশ্বকাপে পাকিস্তান কেমন পারফর্ম করবে এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ভার। হারশা ভোগলে তো বলেই ফেলেছেন “পাকিস্তানকে নিয়ে যত যাই বলি খেলা শেষ হওয়ার আগে কিছুই বোঝা মুশকিল, এতোটাই অননুমেয় একটা দল পাকিস্তান।
বোরহান ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে রয়েছে বাবর আজমের দল। এশিয়ান কন্ডিশনে খেলা বলেই শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী পাকিস্তান। সাম্প্রতিক সময়ে ওডিআই তে ভালো সময় পার করছেন ওয়াসিম আকরাম, ইমরান খানদের উত্তরসূরিরা। সাম্প্রতিক সিরিজ জয় পাকিস্তানের জন্যে অনুপ্রেরণা হয়ে প্রেরণা দেবে।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের রেকর্ড বেশ ভালো। এখন পর্যন্ত ১২টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা পাকিস্তান ১৯৯২ সালে শিরোপা জয় ছাড়াও একবার রানার্স আপ ও চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে। এছাড়া ৪টি বিশ্বকাপে ছিটকে গেছে গ্রুপপর্ব থেকে। তাই চেনা কন্ডিশনে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।
মোহাম্মদ হাসনাইন, আজম খানদের মতো তরুণদের দলে নিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়াও বাবর-রিজওয়ানদের মতো অভিজ্ঞরা তো আছেনই। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ হলেও পাকিস্তান বেশ এগিয়ে থাকবে। কন্ডিশন বিবেচনায় পাকিস্তান অন্য অনেক দল থেকে এগিয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাদের বিশ্বসেরা পেস বোলিং আক্রমণ যেকোনো দলের জন্য ভয়ের কারণ। আফ্রিদি-রউফদের গতি আর সুইং সামলানো হবে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি শাদাব-ওয়াসিমরা স্পিন জাদু দেখাতে মরিয়া। তবে, পাকিস্তানের অন্যতম দুর্বলতা মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে টপ অর্ডারে বাবর-রিজওয়ান ছাড়া কেউ জ্বলে উঠতে পারেনি।
শুধু তাই নয় এই দুই ব্যাটার আউট হলে তাসের ঘরের মতো দ্রুতই ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। যা বড় দুশ্চিন্তার কারণ। তাই বিশ্বকাপে ভাল করতে হলে মিডল অর্ডারদের দায়িত্ব নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের স্কোয়াড : বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আসিফ আলী, আজম খান (উইকেটকিপার), হারিস রউফ, হাসান আলী, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শোয়েব মাকসুদ।
রিজার্ভ ক্রিকেটার : ফখর জামান, শাহনেওয়াজ দাহানি ও উসমান কাদির।