আন্তর্জাতিকআন্তর্জাতিক ক্রিকেট

লংকান ক্রিকেটের অবনমন

“এ-কূল ভাঙ্গে ও-কূল গড়ে
এইতো নদীর খেলা।
সকাল বেলা আমির সে যে
ফকির সন্ধ্যাবেলা”

নজরুলগীতির এই সুপরিচিত চরণ দুটির সাথে শ্রীলংকান ক্রিকেটের যেনো এক নিবিড় মেলবন্ধন। কেননা ১৯৯৬ সালে রানাতুঙ্গার হাত ধরে বিশ্বকাপ জেতা লংকানদের যে এখন ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৩ বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে হলে বাছাইপর্ব টপকাতে হবে। অথচ ৯ মাস আগেও আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলো দাসুন শানাকার দল। যদিও সেখানে ফরম্যাটটি ছিলো ভিন্ন।

তবে তারপরও ২০০৭ এবং ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের রানার্স আপ দল, ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল এবং ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট লংকানদের কেনো আজ এই দিন দেখতে হচ্ছে? সাঙ্গা-মাহেলা-মুরালি-মালিঙ্গা-দিলশান পরবর্তী যুগে শ্রীলংকান ক্রিকেটের এহেন অবস্থার জন্য অনেকেই দায়ী করছেন তাদের ক্রিকেট বোর্ডের অদক্ষতাকে। অনেকে আবার দুষছেন তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামোকে।

আরেকদল ভক্ত-সমর্থকের দাবি তাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট-ই নাকি শ্রীলংকান ক্রিকেটের এমন দুর্দশার জন্য দায়ী। তবে সকল আঁধারকে পাশ কাটিয়ে শ্রীলংকান ক্রিকেট খুব শীঘ্রই নতুন ভোরের আলো দেখবে এমনটাই প্রত্যাশা ক্রিকেট প্রেমীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button