ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগবিপিএল

রাসেল-রিয়াদের ব্যাটে ঢাকার প্রথম জয়

ফরচুন বরিশালের বিপক্ষ ৪ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে হারের বৃত্ত ভাঙলো মিনিস্টার ঢাকা। ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও এই জয় পেলো ঢাকা।

একদিন বিরতির পরে আজ আবারো শুরু হয়েছে বিপিএলের তৃতীয় দিনের খেলা। ঢাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টস জিতে সাকিব আল হাসানের বরিশালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ করেন। ফরচুন বরিশাল দলে আনা হয়েছে একাধিক পরিবর্তন। বিদেশী খেলোয়াড়ের তালিকায় জ্যাক লিনটট এর পরিবর্তে একাদশে এসেছেন ক্রিস গেইল এছাড়াও বরিশালের একাদশে যোগ হয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও করোনা থেকে ফিরা নুরুল হাসান সোহান। যদি গতকালই ঢাকায় পা রেখেছিলেন ক্রিস গেইল।

ঢাকার একাদশে মাশরাফি বিন মর্তুজার ফেরার কথা থাকলেও পুরোপুরিভাবে ইঞ্জুরি মুক্ত না হওয়ায় তাকে ছাড়াই তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছে দলটি। এছাড়া ঢাকার একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন এবাদত হোসেন। তার পরিবর্তে জায়গা পেয়েছেন স্পিনার হাসান মুরাদ। এই ম্যাচ দিয়ে হাসান মুরাদের বিপিএলে অভিষেক হচ্ছে। দলটির একাদশে তিন বিদেশি হলেন- আন্দ্রে রাসেল, শাহজাদ ও লংকান ইসুরু উদানা।

বরিশালের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেন সৈকত আলি ও নাজমুল হাসান শান্ত। ৫ রান করে শুভাগত হোমের বলে লং অফে নাঈম শেখের তালুবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ডাউন দ্যা উইকেটে এসে লং অফে খেলতে এসে ১৮ বলে ১৫ রান করে হাসানের মুরাদের শিকার হয়ে বিদায় নেন সৈকত আলি। তিনে নামা তাউহিদ হ্রদয় প্যাভিলিয়নে ফিরেন রানের খাতা খোলার আগেই,আউট হন আন্দ্রে রাসেলের লেগ স্ট্যাম্পের বল ফ্লিক করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হয়ে।

২৩ রানে ৩ উইকেটে যখন টিম বিপদে তখন চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও ক্রিস গেইল। তাদের ৩৭ রানের জুটি ভাঙে সাকিব আউট হলে। রুবেলের বলে উইকেটের পিছনে মোহাম্মদ শাহজাদের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। বরিশালের অধিনায়ক করেন ১৯ বলে ২৩ রান। সাকিবের ইনিংসের ছিল দুইটি চার ও একটি ছক্কা।

করোনা থেকে ফিরে একাদশে সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন কিপার নুরুল হাসান সোহান। ৫ বলে ১ রান করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে স্লুগ সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে জহুরুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন সোহান। তারপর গেইলও বিদায় নেন ৩০ বলে ৩৬ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা।

বরিশালের ইনিংসে বাকি রান যোগ করেন ব্রাভো একাই। ২৬ বলে হার না মানা ৩৩ রান করে সম্মানজনক একটি টুট্যাল দাড়া করান বরিশালকে। ব্রাভোর ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে বরিশাল সংগ্রহ করে ১২৯ রান।

ঢাকার হয়ে রুবেল শুরুটা ভালো করায় বরিশাল বেশিদূর আগাতে পারেনি, ৩ ওভারের ৮ রানের বিনিময় ১ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। এছাড়া উদানা,রাসেল দুই উইকেট করে পেলেও ছিলেন কিছুটা খরুচে।

১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শফিকুল ইসলাম ও আলজারি জোসেফের পেস তোপে শুরুতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ঢাকার টপ অর্ডার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই অসাধারণ এক ডেলিভারিতে তামিম ইকবালকে বোল্ড করেন শফিকুল। পরের ওভারে জোসেফের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন নাঈম শেখ। একই ওভারে জহুরুল ইসলামকেও সরাসরি বোল্ড করেন জোসেফ।

রিয়াদ ও শুভাগতর ৬২ বলে ৬৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে ঢাকা। ২৫ বলে ২৯ রান করেন শুভাগত। ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারায় ঢাকা। আন্দ্রে রাসেল ২২ গজে নেমেই ঝড় তোলেন।

দলের জয় নিশ্চিত করে ৪৭ বলে ৪৭ রান করে মাঠ ছাড়েন রিয়াদ। তখন জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন ছিল আর মাত্র ১ রান। রিয়াদের ইনিংস সাজান ৩টি চার ও ১টি ছক্কার মাধ্যমে। ১৫ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ঢাকার জয় সহজ করে দেন রাসেল। ফলে৪ উইকেটের জয় পায় ঢাকা।

আব্দুর রহমান -টাইগারক্রিক ডেস্ক নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button