বাংলাদেশ ক্রিকেট

ম্যাচ হেরে বোলারদের দোষলেন মাহমুদউল্লাহ

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেধে দেয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যটা বাংলাদেশ দলের জন্য যে বেশ বড় ছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিজেদের মাঠে টাইগারদের এই লক্ষ্য টপকাতে হলে রেকর্ড গড়েই জিততে হত। তবে শেষ পর্যন্ত সেই রেকর্ডে আর গড়া হয়নি। বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ৩৫ রানের ব্যবধানে।

এদিকে এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হয়ে একাই যেন অনেকটা লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৫২ বল মোকাবেলায় ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি বাকি ব্যাটাররা। মাঝখানে অবশ্য আফিফ হোসেন ধ্রুবর সাথে জুটি হলেও তা যথেষ্ট ছিল না জয়ের জন্য।

ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ তাই আক্ষেপ করলেন সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিতে না পারার কারণে। টাইগার অধিয়ানায়ক বলেন, ‘’আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। সাকিব মাশাআল্লাহ ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে অপরপ্রান্ত থেকে সাকিবকে কেউ সমর্থন যোগাতে পারেনি। বোলিংয়ে কয়েকটা ওভারে আমরা বেশি রান দিয়েছি। এটা নিয়ে অবশ্য সমস্যা নেই, কয়েকটা ওভারে বেশি রান বের হয়ে যেতেই পারে। কিন্তু যেভাবে আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছি যে এরিয়াতে আমরা বল করতে চেয়েছি ওখানে বল করিনি।‘’

আফিফের সাথে সাকিবের পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ণ ছিল জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ যোগ করেন, ‘’আফিফ আর সাকিবের পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ন ছিল। যেটা আমাদের একটু মমেন্টাম দিয়েছে। শেষ দিকে সাকিব কয়েকটা বাউন্ডারি মারল, মোসাদ্দেক ১৫ রানের ছোট্ট ক্যামিও ইনিংস খেলল। কিছুটা তো আক্ষেপ হয়ই।‘’

‘’উইকেট খুব ভালো ছিল। আমি যে কয়টা বল ব্যাটিং করেছি উইকেটকে খুব ভালো মনে হয়েছে। বল সুন্দর ব্যাটে আসছিলো। বোলিংয়ে আরও কিছু রান যদি কম রাখতে পারতাম। ১৫৮ রান করেছি, আরও ১০-১৫ রান করতে পারতাম যদি টার্গেট ছোট থাকত।‘’

সাবধানী শুরু করার কারণে জয়ের মানসিকতা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে তখন রিয়াদ বলেন, ‘’ছিটকে যাইনি। ১৯০ রান ১৯০ রান তাড়া করতে গেলে ভালো শুরু অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। পাওয়ার প্লেতে ৫০-৬০ রান করা লাগবে। তাহলে আপনি হয়ত ম্যাচে থাকবেন। প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললাম আর রান করেছিলাম ৪৪। ওখানেই আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম।‘’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button