বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালে মিরপুরে দেখা গিয়েছিল সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। সিনিয়র দুই ক্রিকেটারের সাথে বিসিবি প্রেসিডেন্টের আলোচনা ম্যাচ চলাকালে ছিল কেন্দ্রবিন্দুতে।
মাশরাফি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটকে বিদায় না বললেও তার দলে ফেরার সম্ভাবনা যে নেই তা জলের মতই পরিস্কার। জাতীয় দলে না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাওয়ার ঘোষণা অবশ্য দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
অন্যদিকে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে গণমাধ্যমে মাশরাফির দেয়া ঝাঁঝালো বক্তব্য আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা কোচিং স্টাফ কেউই রক্ষা পাননি তার সমালোচনার হাত থেকে। প্রশ্ন উঠেছিল বিশ্বকাপে ভারতীয় দল মহেন্দ্র সিং ধোনির মত সফল অধিনায়ককে মেন্টর করার পর মাশরাফিকে বাংলাদেশ দলের মেন্টর করা যায় কিনা তা নিয়েও। তবে সব আলোচনা ছাপিয়ে মাশরাফি রয়ে গেছেন বোর্ডের বাইরেই। সেই সাথে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন কাজের স্বাধীনতা দেয়া হলে ও ক্রিকেট বোর্ড কাজ করার সুযোগ করে দিলে দলের সাথে কাজ করতেও আগ্রহী তিনি।
মাশরাফির এসব বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনকে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিসিবি প্রসিডেন্ট জানিয়েছেন মাশরাফি বোর্ডে আসতে চাইলে তাকে নিয়েই কাজ করবে বোর্ড।
পাপন বলেন, ‘’মাশরাফি যদি আসতে চায় আমরা তো চাইবই তাকে নিয়ে আসতে।‘’
তবে এখন পর্যন্ত তার সাথে এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে বিসিবি বস আরও বলেন, ‘’এখন পর্যন্ত ওরকম কোনো আলোচনা হয়নি।‘’
তামিম ইকবাল ও মাশরাফির মত সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে পাপনের কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘’মাশরাফি তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিল। মূলত এটার জন্যই ওর খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। আর তামিমকে ওখানে পেয়েছি। তামিম যে ওখানে থাকবে এটা জানি না। ওরকম কিছু না। আলাপ করছিলাম।‘’
