আন্তর্জাতিকক্রিকেট ফ্যাক্ট

ভিন্ন দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন এমন দুই ভাই রয়েছেন যারা

ক্রিকেট মাঠে দুই ভাই একই দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন তা সাধারণ ব্যাপার। দুই ভাইয়ের একই দলের হয়ে খেলার উদাহরণও আছে বেশ। যেমন মার্ক ওয়াহ ও স্টিভ ওয়াহ খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে, শন মার্শ এবং মিচেল মার্শও খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে, টিম ইন্ডিয়ার হয়ে হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া একই সাথে খেলছেন। এছাড়া বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছেন নাফিস ইকবাল ও তামিম ইকবাল। এতো গেল একই দলের হয়ে দুই ভাইয়ের ক্রিকেট খেলার উদাহরণ। কিন্তু এবার জেনে নেয়া যাক এমন তিনটি ক্রিকেটার ভাইয়ের কাহিনি যারা খেলেছেন ভিন্ন ভিন্ন দেশের হয়ে। ৩। ড্যারেন প্যাটিনসন (ইংল্যান্ড) এবং জেমস প্যাটিনসন (অস্ট্রেলিয়া) ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়া ড্যারেন প্যাটিনসন মাত্র ৬ বছর বয়সে পরিবারের সাথে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। পরিবারের সাথে সেখানে থাকাকালীন ক্রিকেটের হাতেখড়িটাও অস্ট্রেলিয়াতেই হয়। ২০০৭ সালে ভিক্টোরিয়া ক্লাবের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় ড্যারেন প্যাটিনসনের। এরপর অবশ্য পুনরায় ইংল্যান্ডে চলে আসেন তিনি। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের জার্সিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ডেব্যু হয় ড্যারেন প্যাটিনসনের। অন্যদিকে ড্যারেন প্যাটিনসনের ছোটভাই জেমস প্যাটিনসনের জন্ম হয় অস্ট্রেলিয়ায়। অজিদের হয়ে ১৫টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে অংশ নেন জেমস প্যাটিনসন। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪টি টি-২০ ম্যাচ খেলে ৩টি উইকেট দখলে নেন জেমস প্যাটিনসন। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে অজিদের হয়ে ২১টি উইকেট নেন জেমস প্যাটিনসন। ২। অ্যাড জয়েস (ইংল্যান্ড/আয়ারল্যান্ড) এবং ডম জয়েস (আয়ারল্যান্ড) আয়ারল্যান্ডের জার্সিতে ১টি টেস্ট, ৬১টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে এবং ১৬টি টি-২০ ম্যাচে অংশ নেন এড জয়েস। তবে এরপর ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। এরপর ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেক হয় তার। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান দুই বছরে ১৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন ইংল্যান্ডের জার্সিতে। ২৭.৭০ গড়ে ইংল্যান্ডের হয়ে ৪৭১ রান করেন জয়েস। এড জয়েসের ভাই ডম জয়েসের অভিষেক হয় আয়ারল্যান্ডের জার্সিতে। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয় ডম জয়েসের। একই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক ঘটেছিল এড জয়েসেরও। আইরিশদের হয়ে ৩টি ওয়ানডে ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ডম জয়েস। যেখানে তার রানসংখ্যা ২৯। ১। ফ্র্যাংক হার্ন (ইংল্যান্ড/ দক্ষিণ আফ্রিকা), জর্জ হার্ন/ অ্যালেস হার্ন (ইংল্যান্ড) ফ্র্যাংক হার্নের টেস্ট অভিষেক হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জার্সিতে। ১৮৮৯ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হবার পর মাত্র ২টি ম্যাচ খেলেন ফ্র্যাংক। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমালে সেখানে প্রোটিয়াদের হয়েও ৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন ফ্র্যাংক হার্ন। ফ্র্যাংকের দুই ভাই জর্জ হার্ন ও অ্যালেস হার্ন অবশ্য ইংল্যান্ডের হয়েই মাঠে নেমেছিলেন। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে অ্যালেস হার্ন ৪৮৮টি ম্যাচে অংশ নেন। যেখানে তার রানসংখ্যা হচ্ছে ১৬ হাজার। সেই সাথে অ্যালেস হাত ঘুরিয়ে ১১৬০টি উইকেটও দখলে নেন। অন্যদিকে জর্জ হার্নও ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কিছু রেকর্ডের জন্ম দেন। ৩২৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে জর্জ হার্ন করেন ৯ হাজারেরও বেশি রান। সেই সাথে ৩২৮টি প্রথম শ্রেণির উইকেট সহ তার নামের পাশে উইকেটসংখ্যা ৬৮৬।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button