
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। গত বছরের পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের বাকি থাকা শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটাও গড়েই তারা ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে।
এজবাস্টন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৪১৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমেছিলো মাত্র ২৮৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে এসে অবশ্য সফরকারী ভারত খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি ইংলিশ বোলারদের সামনে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ইনিংস থামে ২৪৫ রানে। তবে ম্যাচের নাটকীয়তা তখন কেবল শুরু।
চতুর্থ দিনে এসে ইংল্যান্ডের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭৮ রান। এজবাস্টনে এর আগে কখনও ৩০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জিততে না পারা ইংলিশদের সামনে লক্ষ্যটা তাই ছিল পাহাড়সম। তবে সেই পাহাড়তে ধূলিসাৎ করে দিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছেন জো রুট-জনি বেয়ারস্টোরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামা ইংল্যান্ড ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু পায়। অ্যালেক্স লিস ও জ্যাক ক্রোলির ব্যাটে। এই দুই ব্যাটারের ১০৭ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ৭৬ বলে ৪৬ রান করে ক্রোলি বুমরাহর শিকারে পরিণত হলে। ওলি পোপ অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি এদিন। সেই সাথে রুটের সাথে জুটি গড়তে ব্যর্থ হন লিস।
মাত্র ৬৫ বল মোকাবেলায় ওয়ানডে মেজাজে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে লিস রান আউটে কাটা পড়লে দিনের বাকি সময়টা পার করেছিলেন বেয়ারস্টো এবং রুট।
চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করা ইংল্যান্ড পঞ্চম দিনে এসে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে। ভারতীয় বোলারদের বিন্দুমাত্র ছাড় না দিয়ে তুলোধুনো করতে থাকেন বেয়ারস্টো এবং রুট দুজনেই। এই দুই ব্যাটারই শেষ দিনে এসে তুলে নেন সেঞ্চুরি।
আর কোনো উইকেট না পড়ায় শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের বড় জয় পায় ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে বেয়ারস্টো ১৪৫ বল মোকাবেলায় অপরাজিত ছিলেন ১১৪ রান করে। তার এই ইনিংসে ছিল ১৫টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া ১৭৩ বলে ১৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন রুট। তার এই ইনিংসে ছিল ১৯টি চার ও ১টি ছক্কা।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ২-২ সমতা দিয়েই নিস্পত্তি হল। এক বছর আগে সিরিজের বাকি চার টেস্ট খেললেও এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই নিস্পত্তি হল সিরিজের।