ক্রিকেট ফ্যাক্ট

বিশ্বকাপ দলে শান্তকে রাখার ব্যাখ্যা দিলেন পাপন

পারফর্মেন্স দিয়েই জাতীয় দলে আসে ক্রিকেটাররা। তবে যেন এক ভিন্ন চিত্র নাজমুল শান্তর। দলে পারফর্ম না করলেও নির্বাচকদের কাছে যেন অটো-চয়েস শান্ত যা নিয়ে প্রত্যহ নেট-দুনিয়ায় চলে তীব্র-সমালোচনা।

ইমরুল কায়েস, সৌম্য বা বিজয়দের মতন অনেক পারফর্মার এক সিরিজে খারাপ করলেই ছেটে ফেলা হয়। তবে অনভিজ্ঞ ও নামের সুবিচার করতে না পারা শান্তকে সবসময় রাখা হয় দলে। আর এই বিষয়টি আরো আলোচিত হয়েছে আগামী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষনার পর।

বিশ্বকাপের দল ঘোষনায় বাদ পড়েন দলের সিনিয়র দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রিয়াদ ও মুশফিক। বাংলাদেশের হয়ে শতাধিক ম্যাচ খেলা এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে পারফর্মেন্সের ফলে বাদ দেওয়া হয় দল থেকে। তবে তাদের চেয়েও রান কিংবা অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকা শান্তকে রাখা হয় সেই দলে।

বাংলাদেশ দলের এক সময়ের জনপ্রিয় নাম সৌম্য সরকারের অভিজ্ঞতাও কম নয়। শান্ত যেখানে ৯টি টি২০ খেলে ৪০ ঊর্ধ্ব রান করতে ব্যার্থ, সেখানে সৌম্য খেলেছেন ৬৬ টি২০ ম্যাচ এবং রয়েছে তার পাঁচটি অর্ধ্ব-শতক। তবে সৌম্যর অভিজ্ঞতা ছাপিয়ে শান্ত কেন বিশ্বকাপ দলে তার প্রশ্নের উত্তর না মিললেও বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন তা ঠিকই জানিয়েছেন।

পাপন বলেন, “আমাদের দেশে একটা কমন জিনিস হয়- ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশন। তামিম যেহেতু খেলছে না, আমাদের হাতে এই দুই বিকল্পই আছে (শান্ত ও সৌম্য)। অভিজ্ঞতার বিচারে সৌম্য এগিয়ে। কিন্তু সে তো অনেক দিন ধরে আমাদের জাতীয় দলের সঙ্গেই নেই। হঠাৎ করে কীভাবে খেলবে? এদিক থেকে শান্তর টেস্ট দলের সাথে থাকার অভিজ্ঞতা আছে।”

পাপনের কথায় পরিষ্কার অনেকদিন ধরে টি২০ দলের বাইরে থাকায় সৌম্যকে রাখা হয়নি দলে। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুবাইয়ে টি২০ বিশ্বকাপে শেষ খেলেন সৌম্য। তবে দীর্ঘদিন ধরে টি-টুয়েন্টি দলে খেলছেন শান্ত। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতাকেই তাই বেছে নেওয়া হয়েছে।

তবে অভিজ্ঞতা বিচারেই সৌম্যকে রাখা হয়েছে ব্যাকআপ খেলোয়াড় হিসেবে। বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হলে সৌম্যকে ব্যবহার করার আভাসও দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button