বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে খুব বেশি হতাশ হননি ল্যাবুশেন
![](https://i0.wp.com/bn.tigercric.com/wp-content/uploads/2023/09/বিশ্বকাপ-থেকে-বাদ-পড়ে-খুব-বেশি-হতাশ-হননি-ল্যাবুশেন.png?resize=780%2C422&ssl=1)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে নিয়মিত মুখ হলেও কিছু দিন অজিদের ঘোষিত বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান মার্নাস ল্যাবুশেনের। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছিলো না এই ব্যাটসম্যানের। আর তাই বিশ্বকাপের আগেই হুট করে দলে থেকে বাদ পড়তে হয় থাকে।
অভিষেকের পর ক্যারিয়ারের প্রথম ৬ ওয়ানডে ইনিংসের ৫টি তেই ৪০ উর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছিলেন ল্যাবুশেন। এর মধ্যে ছিল ১ টি শতক এবং ২ টি অর্ধশতক। এরকম দুর্দান্ত শুরুর কিছু দিন পরই ব্যাট হাতে ফর্ম হারাতে শুরু করেন তিনি। এমনকি সবশেষ ১৪ ওয়ানডে ইনিংসে তার ব্যাটিং গড় মাত্র ২২.৩০ এবং ৬৯.৮৭ স্ট্রাইক রেটও আধুনিক ক্রিকেটের ব্যাটিং স্টাইলের সাথে সাঘর্ষিক। আর এতে করেই দল দল থেকে তাকে বাদ পড়তে হয়।
তবে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পর সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে চলমান ওয়ানডে সিরিজে প্রথমে স্কোয়াডে না থাকলেও পরবর্তীতে বদলি ক্রিকেটার হিসেবে স্কোয়াডে যুক্ত হোন। স্কোয়াডে যুক্ত হলেও প্রথম একাদশে সুযোগ হয়নি ল্যাবুশেনের। তবে হুট করেই ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে মাঠে নামার সুযোগ হয়। আর এই সুযোগে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ব্যাট হাতে। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে ৯৩ বলে ৮০ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে একাই ম্যাচ জেতান।
এরকম পারফরমেন্সের পর আবারো আলোচনায় এসেছে ল্যাবুশেনের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার ইস্যুটি। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার অনুভূতি, ‘যেভাবে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছিলাম তাতে আমি সত্যিই হতাশ। শেষ ১০-১২ ম্যাচে আমি আমার ইন্টেন্স দেখাতে পারিনি। সাহসী হতে পারিনি, যেমনটা আমি চেয়েছিলাম। আমি যখন দল থেকে বাদ পড়েছি তখন আমি খুব বেশি হতাশ হইনি। আমি নির্বাচকদের বলেছিলাম, বুঝতে পেরেছি (বাদ পড়ার কারণ), আমি রান করতে পারিনি।’
তিনি যুক্ত করেন, ‘যখন অ্যাশেজ থেকে ফিরেছি, তখনই আমি ড্রয়িং বোর্ডে আকার চেষ্টা করেছি এবং ভেবেছি কীভাবে আমি ওয়ানডে ম্যাচে উন্নতি করতে পারব। মিডল অর্ডারে আমি এখনও ভালো রকমের কিছুই হতে চাই। আপনাকে শুধু শক্ত হয়ে বসতে হবে এবং সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে। সবসময় তৈরি থাকতে হবে।’