![শোয়েব আখতার](https://i0.wp.com/bn.tigercric.com/wp-content/uploads/2022/09/শোয়েব-আখতার.jpg?resize=780%2C470&ssl=1)
সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। তবে দলটার শিরোপা জয়ের পথে ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। টুর্নামেন্ট শেষে যার প্রমানও মিলেছে, রানার আপেই থাকতে হয়েছে সন্তুষ্ট। দেশটির সাবেক তারকা পেসার শোয়েব আখতার তো বলেই দিলেন আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ রাউন্ডেই বাদ পড়বে বাবর আজমের দল।
এশিয়া কাপে ফাইনাল সহ পাকিস্তান ম্যাচ খেলেছে ৬ টি। যেখানে জয় এসেছে ৩ টি। হংকং, আফগানিস্তানের সাথে সুপার ফোরে হারানো গেছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে। যদিও প্রথম পর্বে ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল। এরপর সুপার ফোরের শেষ ম্যাচের সাথে ফাইনাল, দুইবারই শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজিত হতে হয়েছে।
দলটির মিডল অর্ডার নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরেই। যার ধারাবাহিকতা বজায় ছিল এশিয়া কাপেও। এমনকি বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডেও মিডল অর্ডারে কোনো পরিবর্তন না দেখে ক্ষেপে গেছেন শোয়েব।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক এই গতি তারকা বলেন, ‘এটা কেমন দল নির্বাচন? তারা বলেছিল, আমরা এমন একটি সিদ্ধান্ত নেব যা সবার পছন্দ হবে। কিন্তু তারা মিডল অর্ডারে পরিবর্তন না করার মতো ভয়ঙ্কর একটি সিদ্ধান্ত নিল। সমস্যাটা ছিল মিডল অর্ডারে, কিন্তু নির্বাচকরা তা উপেক্ষা করল এবং সেখানে কোনো পরিবর্তনই আনল না।’
পাকিস্তান জাতীয় দলের বর্তমান নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। অন্যদিকে প্রধাঁন কোচ সাকলাইন মুস্তাক। দল নির্বাচন পছন্দ না হওয়ায় এক সময়ের সতীর্থ সাকলাইনকে দুই চার কথা শোনাতেও কার্পন্য করেননি শোয়েব।
তার ভাষায়, ‘প্রধান নির্বাচক যখন সাধারণ মানের, সিদ্ধান্তও তো নেওয়া হবে সেরকমই। সাকলাইন (মুশতাক) ২০০২ সালে সবশেষ ক্রিকেট খেলেছে। সে আমার বন্ধু, তাই তাকে এটা বলতে চাই না, তবে আমার মনে হয় না টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সম্পর্কে তার কোনো ধারণা আছে। আমি মনে করি না, এটা তোমার শক্তির জায়গা।’
বিশ্বকাপে দলের সম্ভাবনা জানিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘এই দল নিয়ে, প্রথম রাউন্ডেই আমরা বাদ পড়তে পারি। আমাদের ব্যাটিং বিভাগের গভীরতা নিয়ে আমি শঙ্কিত। আমাদের অধিনায়কও এই সংস্করণের জন্য উপযুক্ত নয়, কারণ সে সবসময়ই ক্ল্যাসিক কাভার ড্রাইভ খেলতে মুখিয়ে থাকে। সে নিজেকে ক্ল্যাসিক দেখাতে চায়।’