ফিচারবাংলাদেশ ক্রিকেট

‘ফিজিওর রিপোর্ট অনুযায়ী, খেলার জন্য আমি প্রস্তুত’

গত সোমবার রাত থেকেই তামিমকে নিয়ে নানান আলোচনা ও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো ক্রিকেট পাড়ায়। তবে গতকাল বিশ্বকাপ দল ঘোষনায় তামিমের নাম না থাকায় সেই আলোচনা রূপ নেয় বড় পরিসরে।

তবে সকল আলোচনা ও গুঞ্জন ছাপিয়ে আজ তামিম ইকবাল তার ফেইসবুক পেইজে বিগত দিনগুলোর সকল ঘটনা ভিডিওর মাধ্যমে বলার সিদ্ধান্ত নেন। তার কথামত বিশ্বকাপ দল ভারতে উড়াল দেওয়ার পরই তার ভিডিও আপলোড দেওয়ার কথা ছিলো। অতঃপর তামিম নিজেই বললেন তার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা।

অনেক গনমাধ্যমে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো তামিমের ৫ ম্যাচ খেলতে চাওয়ায় নাকি ছিলো তামিমের বাদ হওয়ার মূল কারন। কিন্তু তামিম ইকবাল নিজে বিষয়টিকে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “কেউ কেউ বলছে, আমি নাকি বলেছি ৫ ম্যাচের বেশি খেলবো না। এটা মিথ্যা। আমি কখনো, কোথাও বলিনি ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না।” 

তবে আবার গুঞ্জন উঠেছিলো যে ফিটনেসের কারনেই কি বাদ পড়েছেন তামিম? কারন কিউইদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষেই তার চোটের ব্যাথার কথা বলেছিলেন তামিম। তবে নিজেকে খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন বলেন তামিম।

তামিম বলেন, “নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মানসিকভাবে আমি খুব খুশি ছিলাম। গত চার-পাঁচ ম্যাচের যত বিষয় সব ভুলে গিয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমার ইনজুরির অবস্থা ফিজিওকে জানায়। তখন ড্রেসিংরুমে নির্বাচকরা আসেন। আমি তাদের বলেছিলাম, আমার অবস্থা সামনে এমনই থাকবে। আমাকে দলে রাখলে বিষয়টি মাথায় রাখবেন। হোটেলে যাওয়ার পর আমাকে ফিজিও পর্যবেক্ষণ করেন”

ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল তা পরিষ্কার করে তামিম বলেছেন, “ফিজিও’র রিপোর্টে ছিল প্রথম ম্যাচের পরে আমার ব্যথার অবস্থা কী, দ্বিতীয় ম্যাচের পর কী হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২৬ তারিখের (নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচ) ম্যাচের দিন অবস্থা কেমন হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, খেলার জন্য আমি প্রস্তুত। তবে আমাকে বলা হয়েছিল আমি রেস্ট নিতেও পারি।”

রেস্ট নিলে ফিটনেসের অবস্থা ভালো থাকতো বলেও উল্লেখ করেছেন তামিম, “শেষ ম্যাচটায় রেস্ট নিলে সেক্ষেত্রে আমার প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য রিহ্যাভ হয়ে যেত এবং বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচও আমি খেলতে পারবো এমনটা ছিল রিপোর্টে। আমি কোথাও বলিনি যে, পাঁচটা ম্যাচ খেলবো বা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারবো।”

তামিম তার ভিডিওতে বলেন যে বিসিবির এক কর্মকর্তা তাকে ফোন দিয়ে প্রস্তাব দেন আফগানিস্তানের সাথে তাকে না খেলানোর। তবে নিজেকে ফিট দাবি করে সেই ম্যাচ খেলতে চাইলে তাকে ওপেনিং ছেড়ে অন্য পজিশনে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তৎক্ষনাৎ তামিম বিষয়টির প্রতিবাদ করেন এবং তাকে দলে না রাখতে চাইলে বাদ দেওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করেন।

বিসিবির সেই কর্মকর্তাসহ তার সাথে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোকে ‘নংরামি’ বলেন তামিম। তামিম দাবি করেন যে তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button