![](https://i0.wp.com/bn.tigercric.com/wp-content/uploads/2022/10/T.Iqbal_.jpg?resize=780%2C470&ssl=1)
গত ২০২০ সালে একটিও টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি তামিম ইকবাল। অতপর ২০২১ সালে নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তামিম। তবে তামিমের অনুপস্থিতে এখনো পাওয়া যায়নি কোন স্থায়ী ওপেনার, যদিও বর্তমানে নিয়মিত খেলছেন মিরাজ-সাব্বির।
তামিমের নিজের অভিমত, নিয়মিত ওপেনারদেরই এই পজিশনে খেলানো। তবে মেকশিফট ওপেনারের এই পরিকল্পনাও একদম উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।
“যখন একটা নতুন কোচ আসেন, তিনি নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসেন। আমি দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই কোচের (শ্রীধরন শ্রীরাম) সঙ্গে কোনো কাজ করিনি, তার পরিকল্পনা কিছু জানি না। না জেনে যদি কিছু বলে দেই, এটা তো ঠিক হবে না। নিশ্চয়ই তাদের কোনো কারণ আছে এটার পেছনে। যদি তারা সফল না হয়, তাদের প্ল্যান ‘বি’ থাকা উচিত এবং আমি নিশ্চিত, তাদের আছে।”
“আমার কাছে মনে হয়, যারা ওপেন করে, তাদের দিয়েই ওপেন করানো উচিত। তবে এটার পেছনে (মেক-শিফট ওপেনার) যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে, আমি সেটাকে ভুল বলতে পারব না।”
মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে উঠে এসে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে রোহিত শর্মার উদাহরণ তুলে ধরলেন তামিম।
“রোহিত শর্মার উদাহরণ তো আছেই। ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনারদের একজন সে। সে তো ওপেনার ছিল না। কেউ পরিকল্পনা করেছে, সে ওপেন করেছে এবং ২৫টি সেঞ্চুরি করেছে (আসলে তিন সংস্করণ মিলিয়ে তার ওপেনিংয়ে সেঞ্চুরি ৩৬টি)। আমি কাউকে বাতিল করে দিতে চাই না। মিরাজকেও না, সাব্বিরকেও না। যথেষ্ট সুযোগ তাদেরকে দেওয়া হোক। যদি কাজে না দেয়, তাহলে হলো না। তখন বদলানো যাবে।”
সংবাদমাধ্যম, ক্রিকেট অনুসারীদের প্রতি ওয়ানডে অধিনায়কের অনুরোধ, পর্যাপ্ত পরখ করার আগেই যেন কোনো ক্রিকেটারকে শূলে চড়ানো না হয়।
“একটা অনুরোধ আমি করতে পারি… দেখুন, কে দলে থাকবে, কে থাকবে না, এসব কিন্তু সবারই প্রশ্ন। কেউ তো জোর করে দলে ঢোকে না! খেলার আগেই যেন একটা ছেলেকে আমরা উড়িয়ে না দেই। সে কেন দলে… নিশ্চয়ই তাকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে। হয়তো আমার মনে প্রশ্ন হতে পারে, কিন্তু আরেকজনের তো পরিকল্পনা আছে।”
“তো, ওই সুযোগটা তাকে দিয়েন। প্রথম বল খেলার আগেই তাকে শেষ করে দিয়েন না।”
বিশ্বকাপকে ঘিরেও তামিম বললেন, দ্রুতই ধৈর্য হারিয়ে সমালোচনার ঝড় বইয়ে না দিয়ে দলের পাশে যেন থাকেন সবাই।
“একটি-দুটি, পাঁচটি পারফরম্যান্স যদি খারাপ হয়, কারও ওপর লাফিয়ে না পড়ে সবার সাপোর্ট করা উচিত। আমরা সবাই চাই বিশ্বকাপে ভালো করতে। আমরা যদি তিন-চারটি, দুই-তিনটি ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে এটা ভালো অর্জন হবে। বাংলাদেশ কখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খুব বেশি ম্যাচ জেতেনি। সবাই তাই ইতিবাচক থাকি।”