এবারের বিপিএলে মেহেদি হাসান মিরাজ মাঠ মাতাচ্ছেন চট্টগ্রাম চেলেঞ্জার্সের হয়ে। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও মিরপুরের সবুজ গালিচায় স্পিন ভেলকি দেখিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। বল হাতে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
তারুণ্যনির্ভর চট্টগ্রামের অধিনায়ক হিসবেও রয়েছেন মিরাজ। দলটির পেস বোলিং বিভাগে শরিফুল ইসলাম মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর মত তরুণ পেসাররা রয়েছেন। জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি হিসেবে এই তরুণ ক্রিকেটারদের উপরেই আস্থা রাখতে চান মিরাজ।
ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কখনও কখনও একটি ওভারই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে যথেষ্ট। তিনি বলেন, ‘’টি–টোয়েন্টি খেলায় কিন্তু এক–দুই ওভারই যথেষ্ট। আমাদের বোলাররা তবুও ভালো চেষ্টা করেছে। কিন্তু দিনশেষে হয়নি। ওরাও ভালো ক্রিকেট খেলেছে। বিশেষ করে, জিয়া ভাই খুব ভালো ব্যাটিং করেছেন।”
ম্যাচ হারলেও হতাশ না হয়ে দলের তরুণ পেসারদের প্রশংসা করেন মিরাজ। শরিফুল-মুগ্ধদের প্রশংসা করে তিনি যোগ করেন, ‘’কিন্তু হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ওরা যে অনেক খারাপ বোলার তা কিন্তু না। ওরা অবশ্যই ভালো বোলার। শরিফুল বাংলাদেশের পক্ষেও অনেক ভালো খেলেছে ওয়ানডে, টেস্ট, টি–টোয়েন্টিতে। সব জায়গায় ভালো করেছে। একটা ম্যাচ এরকম হতেই পারে। মুগ্ধও অনেক ভালো বোলার। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক ভালো খেলেছে। ক্রিকেট খেলায় একটা–দুইটা ম্যাচ এমন হতেই পারে। দিনশেষে ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক সুযোগ আছে।”
“শরিফুল এবং মুগ্ধই কিন্তু আমাদের মূল বোলার। আমি বা নাসুম ভাই ছাড়া ওদের ভূমিকা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওরা খুব কঠিন সময়ে বোলিং করে। আজ হয়নি কিন্তু আমি মনে ওরাই আমার মূল বোলার এবং ওরাই ভবিষ্যতের ম্যাচগুলো জেতাবে।”
মাত্র একটি ম্যাচ হারার পর এর ফলাফল দিয়ে দলকে বিবেচনা করতেও নারাজ চট্টগ্রাম অধিনায়ক। তিনি যোগ করেন, ‘’দেখুন, আমাদের দল কিন্তু ভালো একটা দল। এই খেলোয়াড়গুলো সম্প্রতি (জাতীয় দলে) টি–টোয়েন্টি খেলছে। বিদেশি ক্রিকেটাররাও ভালো খেলে। মানিয়ে নিতে নিতেই দুই–একটা ম্যাচ চলে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, ওরা ভালো ক্রিকেট খেলবে। ব্যাটাররা যদি ভালো ক্রিকেট খেলে তাহলে আমরা বোলাররাও সাপোর্ট দিতে পারব। দুইটা মিলেই কিন্তু দল ফলাফল পায়। একটা ম্যাচ দেখেই বিবেচনা করা উচিত না।”
