ক্রিকেট ফ্যাক্ট

টেস্ট না খেলার সিদ্ধান্তে মুস্তাফিজের উপর রেগে আগুন সুজন!

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় ধরে দলের সাথে নেই মুস্তাফিজুর রহমান। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে মুস্তাফিজ না থাকার পর আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলেও রাখা হয়নি তাকে। আইপিএল খেলতে যাওয়ার অনাপত্তি পত্রও তিনি পেয়েছেন টেস্ট স্কোয়াডে না থাকার কারণে।

সম্প্রতি মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন সাদা পোশাকে তার অনাগ্রহের কথা। তবে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব না করার সিদ্ধান্তে বাঁহাতি এই পেসারের উপর বেজায় চটেছেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।

তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম কিংবা এবাদত হোসেনরা যখন ইনজুরির সাথে লড়াই করছেন তখন মুস্তাফিজ টেস্ট না খেলার সিদ্ধান্তে নাখোশ সুজন। আইপিএল মিশন শেষ করে দেশে এসে আগামী ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে টেস্ট খেলবেন মুস্তাফিজ এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন সুজন।

মুস্তাফিজের টেস্ট খেলা প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘’যেহেতু ওকে আমরা ছুটি দিয়ে দিয়েছি, আইপিএল খেলছে, এখন ওকে ডিস্টার্ব করতে চাই না। আইপিএল খেলুক। আইপিএলে আমাদের একজন প্রতিনিধিত্ব করছে এটা আমাদের জন্য বড় একটা ব্যাপার। আমরা চাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে একটা টেস্ট হলেও খেলুক।‘’

মুস্তাফিজ জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলুক এমনটাই চাওয়া সুজনের। টেস্ট দলে পেসারের ঘাটতির কথা জানিয়ে সুজন যোগ করেন, ‘’আমি তো চাই মুস্তাফিজ টেস্ট খেলুক। কেন না? আমাদের তো এত বোলার নেই। হাতে গুনলে এবাদত, তাসকিন, শরিফুল, খালেদ, রাহী… এরপর বোলার কই? বাংলাদেশের সেরা ফাস্ট বোলারই তো মুস্তাফিজ। অভিজ্ঞতা বলুন, নৈপুণ্য বলুন, টেকনিক-টেকটিকস বলুন। এসব দিক থেকে তো মুস্তাফিজই সেরা।‘’

এই সময়টায় মুস্তাফিজ টেস্ট দলে থাকলে বোলিং বিভাগে ভারসাম্য থাকত জানিয়ে সুজনের ভাষ্য, ‘’আমাদের ছেলেরা স্টার্ক, হ্যাজলউডের মত না। আমাদের এরা ইঞ্জুরিপ্রবণ। সুতরাং আমরা চাই সবাই বিরতি নিয়ে নিয়ে খেলুক। তাহলে লম্বা সময় ধরে ওদের সার্ভিস পাব। এমনিই শক্তি কম। তার মধ্যে যদি সেরাদের ছাড়া খেলি! আজ তাসকিন ইঞ্জুরড। আমাদের মূল বোলারদের একজন খেলতে পারবে না। মুস্তাফিজ থাকলে দলের ভারসাম্য ঠিক থাকত। শরিফুলও যেকোনো সময় ইঞ্জুরিতে পড়তে পারে। তাসকিন ও শরিফুল এমন খেলোয়াড় যারা যেকোনো সময় ইঞ্জুরিতে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে মুস্তাফিজ থাকলে আমরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাতে পারতাম।‘’

‘’আমি মনে করি মুস্তাফিজ বুঝবে। ওকে আমাদের দরকার। এ মুহূর্তে ওকে খুবই প্রয়োজন। ক্রিকেট বোর্ড মানেই মুস্তাফিজ, মুস্তাফিজ মানেই ক্রিকেট বোর্ড। এটা তো আলাদা কিছু না।‘’

”আইপিএলে কয়টা ম্যাচ খেলেন? ৬টাই ধরলাম। খালেদ, এবাদত, তাসকিন, শরিফুল দুই টেস্টের চার ইনিংসে হয়ত ৬০ ওভার করে বল করে। ওয়ার্কলোড তো একই হচ্ছে! আপনি কোথায় বেশি ওয়ার্কলোড নিচ্ছেন? আপনি তো আইপিএলই বেশি খেলেন, আর তো কিছু বেশি খেলেন না। যুক্তির কথায় যদি আসি, ওয়ার্কলোড কোথায় বেশি আসে? আপনি আইপিএল খেলতে যাবেন, যেটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য কোনোভাবেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। আপনি বিসিবির অধীনে খেলেন, দেশের খেলায় মনোযোগ দিতে হবে।” যোগ করেন সুজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button