ক্রিকেট ফ্যাক্ট

টেস্টে ভালো করার মন্ত্র দিলেন মাশরাফি

সাদা পোশাকে যেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দেশের ক্রিকেট। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২২ বছর পার হলেও পারফরম্যান্সের ঘাটতি পোষাতে কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। দেশের মাটিতে মাঝেমধ্যে সাফল্য ধরা দিলেও বিদেশের মাটিতে সফলতা যেন সোনার হরিণ।

সাদা পোশাকে এমন হাল থাকলেও রঙিন পোশাকে বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে টাইগারদের উন্নতি এখন রীতিমত গর্ব করার মতই। তবে ফরম্যাট পালটে গেলেই কেন বেহাল দশার মুখোমুখি পড়তে হয়  টাইগারদের? সমাধানই বা কি হতে পারে?

টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন টেস্ট দলের উন্নতি করতে ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকেই মনোযোগ দিতে হবে বেশি। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘’আপনি (প্রশ্ন কর্তাকে) যেটা বললেন কতটুকু এগিয়েছে। আমি মনে করি না পিছিয়েছে। তবে হ্যাঁ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও তো আরও আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের ম্যাচ থাকায় না খেললেও এটাইতো খেলোয়াড় তৈরির জায়গা। আমাদের যারা লোকাল খেলছে তাদের মাঝ থেকেই তো খেলোয়াড় উঠে আসবে।”

“জাতীয় দল জাতীয় দলের জায়গায় থাকবে; কিন্তু এই খেলাগুলো চলমান থাকলে দুই একজন ক্রিকেটার ওখান থেকে পাবেনই। ২-৩ সিজন পরে ৮-১০ জন প্লেয়ার বের করার চিন্তা করলে হবে না। ২-৩ সিজন পরে যদি একজন সলিড প্লেয়ার পান, যে কি না আপনাকে ১৫ বছর সার্ভিস দিবে। আপনার ফোকাস থাকবে এরকম। এগুলো ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আরও ১০০ বছর আগে থেকে করেছে। ভারত ৩০ বছর আগে করেছে এখন ফল পাচ্ছে। এখন আমরা শুরু করলে আমরাও পাবো। আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে।‘’

ব্যাটারদের মানসিকতা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে মাশরাফি যোগ করেন, ‘ব্যাটিংটা এক-দুইদিনের ব্যাপার না। এক-দুই বছর ধরে কাজ করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে স্কিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাথে মানসিক দক্ষতা। এ দুইটার কম্বিনেশন হওয়াটা জরুরি। শুধু স্কিল নয়, এর সাথে মানসিক দক্ষতার বিশাল যোগসূত্র আছে। বিশ্বে অনেক ব্যাটার আছে টেকনিক্যালি সাউন্ড না হয়েও অনেক অনেক রান করে গেছে। কারণ তারা মানসিকভাবে শক্ত ছিল। আমাদের সাকিবই দেখেন।‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button