
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে আশাহত করেছে বাংলাদেশ দল। নিজেদের মাটিতেই হতশ্রী পারফরম্যান্সের দরুন সিরিজ হেরেছে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামের মাটিতে ড্র করা সম্ভব হলেও ঢাকা টেস্টে যেন অসহায় আত্মসমর্পন করতে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের।
ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে যখন ডাক মারার ছড়াছড়ি তখন বোলাররাও ছিলেন নিষ্প্রভ। ক্ষুরধার বোলিং উপহার দিতে না পারার খেসারত হিসেবে লঙ্কান ব্যাটাররা মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ইনিংস বড় করার সুযোগ পেয়েছে।
এদিকে ঢাকা টেস্টে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন মনে করছেন ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই দুর্বলতা ছিল বাংলাদেশ দলের। সেই সাথে আক্ষেপ করেছেন লঙ্কান অখ্যাত বোলারদের কাছে উইকেট বিলিয়ে দেয়ার কারণেও।
ঢাকা টেস্ট শেষে পাপন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘’প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্ট দুটোতেই বোলিংয়ে দুর্বলতা ছিল। ওরা কত সুন্দর, শৃঙ্খলা নিয়ে বল করেছে। ওদের কিন্তু আরও ভালো ফাস্ট বোলার আছে। তারা না থাকা সত্ত্বেও তুলনামূলক নতুন, অখ্যাত, অনভিজ্ঞ দুই বোলারের কাছে আমরা যেভাবে সবগুলো উইকেট দিয়ে এসেছি… এটা অবাক হওয়ার মত। এর পেছনে কারণ এক্তাই- ওরা শৃঙ্খলা মেনে বল করেছে, লাইন লেন্থ মেনে; টেস্টে যা করা দরকার। আমরা জায়গামত বল করতে পারিনি।‘’
মিরপুরের উইকেটে সাধারণত বোলাররা পেয়ে থাকেন বাড়তি সুবিধা। সচরাচর ব্যাটারদের খাবি খেতে হয় হোম অব ক্রিকেটের বাইশ গজে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে চিত্র কিছুটা ভিন্ন ছিল। টাইগার বোলারদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিয়ে লঙ্কান ব্যাটাররা লম্বা সময় ক্রিজে থিতু হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা বড় স্কোরের দেখা পেলেও বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করে পাপন যোগ করেন, ‘’যতজনের সাথে কথা বলেছি, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ- ঢাকায় এত ভালো ব্যাটিং পিচ হওয়া সম্ভব এটা ওদের ধারণায়ই নেই। ওরা বলছে ৫০০ রান হওয়ার মত উইকেট ছিল। সে জায়গায় আমরা…’’