একটি দলের জন্য প্রতিটি ম্যাচে একটি ওপেনিং জুটি অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। যেই ম্যাচে দেখা যায় ওপেনিং জুটি ১০০ রান বা তার বেশি রানের জুটি গড়ে, সেই ম্যাচে টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার বাকি রানগুলো সহজেই করতে পারে। আর যার ফলে সেই দলের জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাই।
তবে ক্রিকেটের বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে ওপেনিং জুটিতে ব্যার্থ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। তামিমের অনুপস্থিতিতে টি২০ তে নাইম-লিটন, ওয়ানডেতেও নাইম লিটন এবং টেস্টে সাইফ-শান্ত অটো চয়েস। তবে ব্যার্থ হচ্ছেন তারা। এমনকি ব্যাটিংয়ে শুরুর দিকের এই সংকট কাটাতে সাকিব কে দিয়েও বিশ্বকাপের মত মঞ্চে ইনিংস উদ্ধোধন করায় বাংলাদেশ। তবে ফল সরুপ শুন্য। শুধু সাকিব নয়, মিরাজ সহ অনেককে দিয়েই নানা ম্যাচে পরীক্ষা নেয় বাংলাদেশ। তবে এর কোন ফলাফল নেই।
[আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের ৭টি সমালোচিত ঘটনা]
বাংলাদেশ টপ অর্ডারের পার্ফরমেন্স টি২০, ওয়ানডে বা টেস্টেও যাচ্ছে তাই অবস্থা। আর টি২০ তে গত ৮ ম্যাচের ৮ টাতেই পরাজয় বাংলাদেশ’র। আর শুরুর দিকের এই সংকটের কারনেই দল ব্যার্থ হচ্ছে বড় টার্গেট ছুড়তে বা বড় টার্গেট চেস করতে। আর তামিম ইকবাল এর অভাবে আরো যেন লেজে গবরে অবস্থা বাংলাদেশের উদ্বোধনি জুটির। নাইম শেখ বিগত কিছু ম্যাচে রান করলেও স্ট্রাইক রেট ১০০’র কিছু উপরে যা টি২০ তে একদমই গ্রহনযোগ্য নয়। লিটন দাসের বাজে ফর্ম টপঅর্ডারসহ দলকে ভোগাচ্ছে আরো বেশি।
বর্তমানে হার্ড হিটার খোজার মত ওপেনিং সমস্যা টা খুজে বের করা অতিব জরুরী। হার্ড হিটার এর অভাব, বেশি স্ট্রাইক রেটের অভাব, ইত্যাদি সকল সমস্যার মূলে রয়েছে ওপেনিং জুটি। ওপেনিং জুটি ধরুন টি২০ তে যদি ১০ ওভারে ১০০ রান করে যেতে পারে, তবে টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার হার্ড হিটিং ছাড়াই বাকি ১০ ওভারে ২০০ রান করা অসম্বব নয়। তবে অপর দিকে যদি মাত্র ৫ ওভারে ২০ রান করেই বিদায় নেয় শুরুর জুটি, সেইখানে হার্ড হিটার দ্বারাও অসম্ভব। আর যেই কারনেই এই ওপেনাররাই ভোগাচ্ছে টাইগারদের এবং পরাজয়ের মুলেও এ রয়েছে এই ওপেনিং।
তাই বোর্ডকে অতিরিক্ত ভাবে ওপেনারদের দিকে নজর দিতে হবে। আর ওপেনিং দারাইয় দলের এমন বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
নিয়মিত ক্রিকেট আপডেট পেতে আমাদের সাথে যুক্ত হোন ফেসবুকে।