বাংলাদেশের ওপেনিং সংকট যেন কিছুতেই কাটতে চায়না। কখনো নাঈম-লিটন, কখনো লিটন সৌম্য, কখনো বা তামিম-লিটন আবার কখনো সাকিব-নাঈম। শত চেষ্টা ও পরীক্ষা করেও কোন সমাধান আসেনা ওপেনিংয়ের মজবুত জুটির। এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচে মিরাজ-সাব্বিরকে দিয়ে পরীক্ষা করা হয় ওপেনিংয়ে। মিরাজ আশা দেখালেও আশার প্রদীপ নিভেছে সাব্বিরের।
তবে আবারো সেই আশা দেখছে বিসিবি মিরাজ-সাব্বিরেই। তাই আরব-আমিরাতের বিপক্ষে এই জুটিকে আবারো ওপেনিংয়ে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এবারও জ্বলে উঠতে পারিনি কেউই। সাব্বির ‘০’ ও মিরাজ ‘১২’, দ্বিতীয় ওভারে ১১ রানের মাথায় ভাঙ্গে ওপেনিং জুটি।
তবে মিরাজের ওপেনিং অভিজ্ঞতা নতুন নয়। পুরবর্তী এক এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে শতক রয়েছে মিরাজের যদিও তা ওয়ানডেতে। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও এই ওপেনিংয়ে খেলেন মিরাজ। তবে এবার টি-টুয়েন্টিতে মিরাজকে নিয়ে আশা খোঁজা হচ্ছে।
ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো পারফর্ম করতে না পারলেও ওপেনিংয়ে খেলাটা স্ব-ইচ্ছায় যেন নিয়েছে মিরাজ। আরব-আমিরাতের সাথে ম্যাচ শেষে মিরাজের এমনটাই ব্যাখ্যা যে এই ওপেনিং খেলাটাকে সে উপভোগ করছেন। ক্রিকেট খেলায় ভালো পারফর্ম করার জন্য বিশ্ব মাতানো লিজেন্ড তারকা্রা বলেন ‘আগে খেলাটাকে উপভোগ করুন’। কারন ক্রিকেট উপভোগ করলে নাকি আসে সফলতা।
সেই পথে হাঁটছেন মিরাজ। মিডল অর্ডারে ব্যাট করা মিরাজ ওপেনিংটাকে উপভোগ করছেন যার ফল হয়তো বা পাওয়া যাবে আগামীতে যদি আস্থা রাখে বোর্ড। ওপেনিংয়ে ব্যাট করে গত ২ ম্যাচে মিরাজের রান মোট ৫০। এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ে নেমে ‘৩৮’ রান করেন মিরাজ। এরপর আরব-আমিরাতের সাথে মিরাজ করে ‘১২’ রান।
আরব-আমিরাতের সাথে ২ টি২০’র প্রথম টি-টুয়েন্টিতে ম্যাচ জেতার পর মিরাজ বলেন, “টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে ওপেন করতে বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি সেই ভূমিকা উপভোগ করি কারণ আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে সেই অবস্থানে খেলি।”
এই ম্যাচ নিয়ে মিরাজ আরো বলেন, “এটি একটি দুর্দান্ত ম্যাচ ছিল, ছেলেরা সত্যিই ভাল খেলেছে, বিশেষ করে আফিফ। এই সারফেসে শিশিরের সাথে বোলিং করা একটু কঠিন ছিল, সহজে খেলার জন্য মানসিকভাবে দৃঢ়তা ছিল। আমি সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করার চেষ্টা করি। এত তরুণ দল নিয়ে আজ এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন।”