
পাহাড় আর পাথরের শহর ওমানের মাসকাট। পাহাড়ের পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে দারুন নান্দনিক স্টেডিয়াম। নাম আল আমিরাত স্টেডিয়াম। আভিজাত্যে পরিপূর্ণ না হলেও এতো অল্প সময়ে নয়নরঁজন কারুকার্য যে কাউকে মুগ্ধ করবেই। আগামীকাল পর্দা উড়বে বিশ্ব টি-টোয়েন্টি আসরের। আর এই মাসকাটেই প্রথম দিনেই মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড ও লাল-সবুজের আমাদের ক্রিকেট দল!
কল্পনার জগতে কারো কোনো আধিপত্য চলেনা— নিজের রাজ্যে কেবল নিজেরই আধিপত্য চলে। তাই কল্পনায় রঙে কতোকিছুই তো এঁকে যায়, তাই বলে কি আর সেগুলো বাস্তবতার ক্যানভাসে দৃশ্যমান হয়? তবে কল্পনা করতে তো আর নিষেধ নেই। তবে এটাও সত্যি কিছু সময় বাস্তবতা কল্পনার চেয়েও ঢের মধুর! তাই মানুষ সময়ে-অসময়ে কল্পনার স্রোতে ভেসে যায়!
কল্পনায় চাই তো — লাল-সবুজের আমাদের ক্রিকেট প্রতিনিধিরা বিশ্বকাপ জয় করুক! ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরে বিশ্বকে বলুল ‘ ও পৃথিবী এবার এসো বাংলাদেশ নাও চিনে’! কিন্তু তা কি আর হবে? এটা যে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড় হওয়ার ন্যায়, বা তারচেয়েও বড়ো দুঃসাধ্য। ঐ যে বললাম— কল্পনাতে তো কত কিছুই ভাবি আমরা। তা কি আর সব সত্যি হয়? তবে ক্রিকেটের অভিধানে অসম্ভব বলে কোনো শব্দ যে নেই।
তবে এই কল্পনা আছে বলেই, পাহাড়সম বিষাদ ভুলে থাকা যায়, এই কল্পনা আছে বলেই চৌচির মনটা আচমকাই ভিজে প্রশান্তির বৃষ্টিতে। যখন কল্পনার পর্দাটি সরে বাস্তবের পর্দাটির প্রতীয়মান হয়, তখন মানুষ পুনরায় ফিরে আসে বাস্তবতার জগতে। এভাবেই চলতে থাকে আমাদের জীবন নামক ঘড়িটি।
আমরা এবার কল্পনার সাথে সাথে বাস্তবতায়ও চাই, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বাহিনী ভালো কিছু করুক। দেশের নামটা আরো একবার উচ্চারিত হোক বিশ্ব দরবারে। তরুণ আর অভিজ্ঞতার মিশেলে গড়া আমাদের ক্রিকেট দলটি যদি সেরাটা দিতে পারে, তবে পালটে যেতেও পারে ক্রিকেটের রেকর্ড বুক। কাগজে-কলমে সেরাদের হটিয়ে জায়গা গেড়ে বসতে পারে বিশ্বকাপের সবচেয়ে অনুজ দলটি। আরো একবার আমরা গাইতে চাই সেই গান” ও পৃথিবী এবার এসো বাংলাদেশ নাও চিনে’! আমাদের স্বপ্নসারথিদের জন্য এক আকাশ শুভ কামনা!
নিয়মিত ক্রিকেট আপডেট পেতে আমাদের সাথে যুক্ত হোন ফেসবুকে।